জাতীয় সংবাদ

পুলিশ প্রতিবেদনে গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠনের সহিংসতার চিত্র

বাড়ল কারফিউয়ের সময়
তদন্ত কমিটি নিহতদের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন

প্রবাহ রিপোর্ট : গোপালগঞ্জে গত বুধবারের সহিংসতায় চারজন নিহত এবং ৪৫ জন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশের তৈরি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গণমাধ্যমে এ প্রতিবেদন সরবরাহ করে। পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিহত ৪ জনের লাশ পোস্ট মর্টেম করতে না দিয়ে জেলা হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত যৌথবাহিনী ও পুলিশ নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গোপালগঞ্জ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে এক হাজার ৫০৭ জন পুলিশ সদস্যসহ সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। পুলিশ প্রতিবেদনে ঘটনা প্রসঙ্গে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে স্মরণ করতে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মানুষের কথা শুনতে ১-৩০ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে মাসব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৬ জুলাই ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ পৌর উন্মুক্ত মঞ্চে জাতীয় নাগরিক পার্টি এক জনসমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়। এই সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুলাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব শামান্তা শারমিন, তাসনিম জারা, সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, আরিফুল দাড়িয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রওনা দেন। সমাবেশের নিরাপত্তা জন্য সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন তৎপর থাকে। সকাল সাড়ে ৯টায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের একটি সন্ত্রাসী দল গোপালগঞ্জ সদর থানার উলপুরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলাসহ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় একজন পুলিশ পরিদর্শকসহ ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সকাল ১১টার সময় গোপালগঞ্জ সদর থানার কংশুর বাসস্ট্যান্ডে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জ পৌর শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. ওমর ফারুক খান রিপনের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন আওয়ামী লীগ সমর্থক সড়কে গাছ ফেলে এবং কাঠ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় গোপালগঞ্জ ইএনও’র গাড়ি সেখানে গেলে গাড়ি ভাঙচুরসহ সড়ক অবরোধ করে রাখে। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার সময় কোটালীপাড়া থানার অবদার হাট এলাকায় কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম দারিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করে কোটালীপাড়া-পয়সার হাট সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ২৮০০- ৩০০০ নেতাকর্মী রাস্তা অবরোধ করে রাখে। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে গোপালগঞ্জ সদর থানার কাঠি বাজার এলাকায় গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জ পৌরসভার মামুনের নেতৃত্বে ২০০-৩০০ জন আওয়ামী লীগ সমর্থক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা গোপালগঞ্জ পৌরপার্ক সভাস্থলে পৌঁছানোর আগে দুপুর আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৫০-৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ককটেল বিস্ফোরণসহ ঢাল, দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মঞ্চে আক্রমণ করে। তারা মঞ্চের ব্যানার এবং চেয়ার ভাঙচুর করে। দুপুর ২টায় নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ইতোমধ্যে দুপুর সোয়া ২টায় গোপালগঞ্জ সদর থানার সাতপাড় বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ২টি মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে। উচ্ছৃঙ্খল জনগণ রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেয় এবং বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুপুর পৌনে ৩টায় পদযাত্রা সভা সমাপ্ত করে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সভাস্থল ত্যাগ করেন। এই পদযাত্রা সভায় আনুমানিক ২০০ জন লোক উপস্থিত ছিল। সভা শেষে তাদের গাড়ি বহর পরবর্তী পদযাত্রার সভাস্থল মাদারীপুরের উদ্দেশে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রহরায় রওনা দিলে গোপালগঞ্জ পৌরসভার লঞ্চ ঘাটে আওয়ামী লীগ ও এর নিষিদ্ধ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আনুমানিক ৩টায় গাড়ি বহর আটকে দেয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে। এছাড়া নাশকতাকারীরা গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনায় হামলা করে। এসময় সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় প্রায় ৪৫ জন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন বলে জানা যায়। নাশকতাকারীদের আক্রমণের ফলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এনসিপি নেতাকর্মীদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিরাপদে নিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে বিকাল ৪টা ৫৮ মিনিটে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা গাড়িতে করে বাগেরহাট হয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে চলে যান।
গোপালগঞ্জকা-ে তদন্ত কমিটি গঠন : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা, সহিংসতা এবং মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ কমিটিতে তার সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে এক জন করে আরও দুই জন অতিরিক্ত সচিব থাকবেন। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে, এ সরকার ন্যায় বিচার ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবৈধ কর্মকা- ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। গত বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক নাশকতা ও সহিংসতা চালায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। তারা প্রথমে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও তাতে আগুন দেয়। এরপর ইউএনওর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়ে মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপরও এনসিপি সেখানে সমাবেশ করে। তারা ফিরে আসার পথে এনসিপির নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরে হামলা করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায় হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়। মাঠে নামে সেনাবাহিনী। এরপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না বিধায় কারফিউ জারি করতে হয় প্রশাসনকে। সহিংসতা ও সংঘর্ষে ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কিছু লোক।
গোপালগঞ্জে বাড়ল কারফিউয়ের সময় : সংঘর্ষ ও সহিংসতার পর গোপালগঞ্জ জেলায় জারি করা কারফিয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবারও কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে শুক্রবার দুপুর ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন। এর আগে গত বুধবার রাত ৮টা থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ শুরু হয়। চলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, সারা দেশে মাসব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে গত বুধবার গোপালগঞ্জে যান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে তারা এটিকে ‘লং মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ হিসেবে নামকরণ করেন। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এটি প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর গোপালগঞ্জে যাওয়ার পথে পথে বাধা পায়। সকালে পুলিশ এবং ইএনওর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের দায়ী করা হয়। দুপুরে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। হামলার কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছান এনসিপির নেতারা। তারা সেখানে স্লোগান ও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে তারা মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে তাদের গাড়িবহর ঘিরে হামলা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এনসিপি নেতাদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এতে এখন পর্যন্ত চার জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
নিহত চার জনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন : গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত চার জনের দাফন ও সৎকার ময়নাতদন্ত ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তাদের কারও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতরা হলেন- রমজান কাজী (২৪) ও সোহেল রানা (৩৫), ইমন তালুকদার (১৬) ও দীপ্ত সাহা (২৮)। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে দীপ্ত সাহাকে গত বুধবার রাতে গোপালগঞ্জ পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। রমজান কাজীকে গত বুধবার রাতে এশার নামাজের পর দাফন করা হয়। সোহেল রানা ও ইমন তালুকদারকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চার জনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিন জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সারা দেশে মাসব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে গত বুধবার গোপালগঞ্জে যান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তারা এটিকে ‘লং মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ হিসেবে নামকরণ করেন। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এটি প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর গোপালগঞ্জে যাওয়ার পথে পথে বাধা পায়। সকালে পুলিশ এবং ইএনওর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের দায়ী করা হয়। দুপুরে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। হামলার কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছান এনসিপির নেতারা। তারা সেখানে স্লোগান ও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে তারা মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে তাদের গাড়িবহর ঘিরে হামলা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এনসিপি নেতাদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এতে এখন পর্যন্ত চার জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button