স্থানীয় সংবাদ

অনলাইনে চটকাদার বিজ্ঞাপন : ছবিতে দেখায় একরকম আর পণ্য পাওয়া যায় ভিন্নরকম

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ দিন যতই যাচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটায় চাহিদা বেড়েই চলছে। তবে বেশির ভাগ সময় মনিটরে স্কিনে যেমন চমৎকার সাশ্রীয় মূল বিভিন্ন পণ্য চটকদার বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আর ক্রেতা সেই পণ্য হাতে পাওয়ার পর দেখে ভিন্ন রকমের পণ্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কাউন্টারটেরোরিজম ইউনিটের সাইবারক্রাইম টিম বেশ কয়েকটি প্রতারকচক্রকে আটক করলেও এখন চলছে প্রতারণা। অধিকাংশ সময়ে প্রতারকচক্র থাকে অধরা। মূলতঃ অল্প টাকায় প্রতারনার শিকার গ্রাহকরা পুলিশের কাছে বা জাতীয় ভোক্তা অধিকারের কাছে অভিযোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করে। এছাড়া বর্তমান সময়ে কি পাওয়া যাচ্ছেনা ; অনলাইনে গয়না, পোশাক, মুঠোফোন, জুতা স্যান্ডেল, চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, প্রস্তুত করা খাবার, বই, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ওষুধ, মিষ্টি, আলমারী আসবাবপত্রসহ বহুবিধ পণ্য। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. তপু নর্থওয়েষ্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বলেন, গেল দুই মাস আগে ইন্ডিয়ান শপস ডট. কম. বিডি নামের একটি ফেসবুক পেজে দেখা যায় ধামাকা অফার দুইটা শাড়ী ক্রয় করলে একটি ফ্রি মোট তিনটি শাড়ী ৩৮শ৫০ টাকা। তখন আমি স্কিনে দেয়া ফোন নাম্বারে ফোন করলে । অপর প্রান্তে একজনের সাথে কথা তিনি বলেন, শাড়ী হোম ডেলিভারি নিতে হলে আপনার অগ্রিম ৭শ টাকা পেমেন্ট করতে হবে বিকাশে যার বিকাশ নাম্বার ০১৮৩৫৯৪১৫৫৪। আর বাকি টাকা শাড়ী পাওয়ার পর দিতে হবে সরাসরি হোম ডেলিভারি। শিক্ষার্থী তাদের কথা মত টাকা পাঠিয়ে দিলে অপরপ্রান্ত থেকে আবার একটি ফোন এসে তাকে ধন্যবাদ দিযে বলে। আমাদের দেয়া অফার পণ্য প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন আপনি যদি সম্পুর্ণ টাকা আমাদের পেমেন্ট করেন ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনার ঠিকানায় ডেলিভারী ম্যান পৌছে যাবে। আমি তখন সরল মনে সব টাকা বিকাশে পেমেন্ট করলেও কোন ডেলিভারি ম্যান আসেনা । কয়েখ ঘন্টা পর আমি ফোন করলে আমার ফোন নাম্বার ব্লক পাওয়া যায়। আমি তখন বুঝতে পারি আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। একই অভিযোগ করেন একই বিশ^ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়ন সরদার তিনি বলেন, আমি দারাজ এর মত একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে একটি হেড ফোনের অর্ডার করি। আমাকে ডেলিভারি দেয়ার পর দেখি হেড ফেনটি নষ্ট। পরবর্তীতে যোগাযোগ করলে বলা হয় আমরা ভালো হেড ফোন ডেলিভারি করেছি। আমাদের কিছু করার নেই। এবিষযে খুলনা বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ ঃপরিচালক মো. সেলিম বলেন, অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের পর প্রতারণা হচ্ছে এমন অভিযোগ আমরা গ্রহণ করি। যদি কোন ভোক্তা প্রতারণার শিকার হয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে তাদের নাম ও অফিসের ঠিকানা যেন সঠিক থাকে। এনা হলে আমরা কিছুই করতে পারিনা। অধিকাংশ সময়ে অফিসের ঠিকানা ভুয়া থাকে। এক্ষেত্রে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button