খুলনা বিভাগে একদিনে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ২২০, মৃত্যু ১

বিভাগে ডেঙ্গু রোগী ছাড়াল ৩২০৪১ : মৃত্যু ১১২

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিভাগে (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) একদিনে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২২০ জন এবং খুমেক হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল হান্নান (৪৫)। সে খুলনা ফুলবাড়ীগেট এলাকার বাসিন্দা শফিউদ্দিনের পুত্র। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছাড়ালো ৩২ হাজার ৪১ জন এবং মৃত্যু হয় ১১২ জনের। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগে নতুন করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২২০ জন এবং খুমেক হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া খুলনায় ২২ জন, বাগেরহাটে ৮ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, যশোরে ৪১ জন, ঝিনাইদহে ৩৪ জন, মাগুরায় ২৪ জন, নড়াইলে ৯ জন, কুষ্টিয়ায় ৩১, চুয়াডাঙ্গায় ৬ জন ও মেহেরপুরে ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি ছাড়াল ৩২ হাজার ৪১ জন। এসময়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩০ হাজার ৮১৭ জন। ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে মোট ১১২ জনের। মারা যাওয়ার মধ্যে খুমেক হাসপাতালে ৩৬ জন, খুলনায় ২ জন, বাগেরহাটে ২ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন, যশোরে ১৭ জন, মাগুরায় ৬ জন, কুষ্টিয়ায় ২৫ জন, ঝিনাইদহে ৯ জন, নড়াইলে ৫ জন, এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ৭৫৩ জন এবং রেফার্ড করা হয় ৩৮১ জনকে। খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় খুমেক হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২১ জন। এ সময়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন। মারা যায় একজন ডেঙ্গু রোগী। তার নাম আব্দুল হান্নান। সে ফুলবাড়ীগেট এলাকার বাসিন্দা শফিউদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০৭ জন। এ পর্যন্ত খুমেক হাসপাতালে ৩৫৫৭ জনকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৩৪১৪ জন এবং মৃত্যু হয় ৩৬ জনের । খুলনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র মতে, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেলায় নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২২ জন। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ২৫ জন। এ পর্যন্ত খুলনা শহর ও উপজেলা মিলে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় ২৬৭১ জন এবং মৃত্যু হয় ২ জনের।