আ’লীগ সরকার দেশে ‘আমরা আর মামুরা’ স্টাইলে নির্বাচন করার অপচেষ্টা করছে

মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আমরা আর মামুরা স্টাইলে নির্বাচন করার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এ ধরনের নির্বাচন হতে দেবে না উল্লেখ করে খুলনা বিএনপি নেতারা বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে বিক্রি করে হলেও ক্ষমতায় থাকতে চান। তার মধ্যে কোনো ধরনের দেশপ্রেম নেই। দেশ থাকল না থাকল, দেশের স্বাধীনতা থাকল না থাকল তাতে তার কোনো কিছু আসে যায় না। তার চাই শুধু ক্ষমতা। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আলোজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, জনসমর্থনহীন সরকার মানুষের চাওয়া পাওয়ার পাত্তা দিচ্ছে না। শুধুমাত্র কিভাবে অবৈধ কাজ সম্পাদন ও বাস্তবায়ন করা যায় সেদিনে নজর দিচ্ছে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো তাবেদার লুটেরা সরকারের দুঃশাসনের শিকার। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দেশব্যাপী তা-ব চালাচ্ছেন। বিগত ১৫ বছর ধরেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চলছে। এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলার জনগণ হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে টেনে নামাবে। দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিচ্যুতির কারণেই আইনের শাসন প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়নি। শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্রের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করে জাতিকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্যই একদলীয় ও বানরের পিঠাভাগের নির্বাচনের আয়োজন করে নির্লজ্জ প্রহসন শুরু করেছে। তাই দেশের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী সরকারের পতনের কোনো বিকল্প নেই। বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে নেতাকর্মীসহ দেশবাসিকে রাস্তায় নেমে আসার আহবান জানিয়েছেন। খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক স. ম. আ. রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বেগম রেহানা রেহেনা ঈসা, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মোস্তফাউল বারী লাভলু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শাহিনুল ইসলাম পাখি, এ্যাড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, নাজির উদ্দিন নান্নু, আহসান উল্লাহ বুলবুল, এ্যাড. মোঃ আলী বাবু, নাসির খান, ফারুক হোসেন হিলটন, জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, খায়রুল ইসলাম খান জনি, আক্কাস আলী, সরোয়ার হোসেন, এ কে এম শহীদুল আলম, সুলতান মাহমুদ, জাফরি নেওয়াজ, মেশকাত আলী, মাহবুব উল্লাহ শামীম, মাসুদুল হক হারুন, সাঈদ, জাহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, জাহাঙ্গীর হোসেন, হায়দার আলী, আব্দুর রব আকুঞ্জি, কাজী মিজানুর রহমান, আব্দুল মান্নান মৃধা, জাহিদ হোসেন বাবু, আসাদুজ্জামান হারুন, পরিতোষ বালা, শেখ রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, টুটুল, সাইদুজ্জামান, রশিদ পাটোয়ারী, মামুন শেখ, শফিকুল ইসলাম, আবু সাদ্দাম, ওহিদুজ্জামান নান্না, আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, এস এম মারুফ আহমেদ, আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম, শেখ আসাদ, মাসুদ খান, সোহাগ মোল্লা, আনোয়ার হোসেন, যুবদলের হাসান বেগ, মাসুম বিল্লাহ, শহিদুল ইসলাম সোহেল, জসিম শেখ, আজিজুল হাকিম, মামুন হোসেন, একলাখ ফকির, শেখ নুরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সৈয়দ ইমরান, মাজাহারুল ইসলাম রাসেল, রায়হান সোবহান, রাসেল মাহমুদ, সিয়াম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রুনু, শরিফুল ইসলাম টিপু, সত্যনন্দ দত্ত, সাইফুল ইসলাম মল্লিক, জাসাসের ইঞ্জি, নুরুল ইসলাম বাচ্চু, আব্দুল জলিল, শ্রমিকদলের ফজলুর রহমান, আসগর, আবু জাফর, হুমায়ুন কবীর, মহিলাদলের এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, মুন্নি জামান, নিঘাত সীমা, রেহেনা আফরোজ সুইটি, শারমিন, কাকলী খান, কাওসারী জাহান মঞ্জু, পুতুল, তাঁতীদলের মেহেদী হাসান মিন্টু প্রমূখ। গায়েবী মামলায় ফেরারী জীবনযাপন করার কারনে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ভার্চ্যুয়ালি আলোচনা সভায় সভায় বক্তব্য রাখেন। আলোচনা শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৮টায় বিএনপি নেতাকর্মীরা গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন। এছাড়া গৃহীত কর্মসুচি অনুযায়ী বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সুর্য্যদ্বয়ের সাথে সাথে বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন, দলীয় কার্যালয়ে আলোকসজ্জা করেন। গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি পুস্পার্ঘ অর্পণ শেষে নেতাকর্মীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নামে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে গল্লামারী ব্রীজ এলাকায় গিয়ে শেষ করেন।