খুলনায় প্রতীক নিয়েই প্রচারণায় প্রার্থীরা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনার ছয়টি আসনের ৩৪ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। তবে, খুলনা-৪ আসনে মোস্তজা রশিদী দারা উচ্চ আদালত থেকে তার প্রার্থীতা ফিরে পেলেও সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পাননি। এদিকে, প্রতিক বরাদ্দ পেয়েই প্রার্থীরা নিজ নিজ আসন এলাকায় ভোটারদের মধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছেন। তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ও দোয়া প্রার্থণা করছেন। খুলনার রিটার্ণিং অফিসারের কার্যলয়ের সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ননী গোপাল ম-ল দলীয় প্রতীক নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী হাসানুর রশিদকে লাঙল, তৃণমূল বিএনপি’র চন্দ্র প্রামানিককে সোনালী আঁশ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন নৌকা, জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম লাঙল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার ডাব, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) বাবু কুমার রায় ছড়ি, বিএনএম প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন নোঙর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাঈদুর রহমান ঈগল প্রতীক পেয়েছেন। খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম কামাল হোসেন নৌকা, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন লাঙল, জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী ঈগল প্রতীক পেয়েছেন। খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির মো. ফরহাদ আহমেদ ‘লাঙল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান ‘আম’, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান ‘সোনালী আঁশ’, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনিরা সুলতানা ‘ডাব’, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দীন খান ‘মিনার’, বিএনএম প্রার্থী এস এম আজমল হোসেন ‘নোঙর’, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জুয়েল রানা ‘ট্রাক’, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমডি এহসানুল হক ‘সোফা’ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজভী আলম ‘ঈগল’।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে আওয়ামী লীগের নারায়ন চন্দ্র চন্দ ‘নৌকা’, জাতীয় পাটির মো. শাহীদ আলম ‘লাঙল’ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আকতার ‘হাতুড়ী’ প্রতীক পেয়েছেন।
এ ছাড়া খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের মো. রশীদুজ্জামান ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু ‘লাঙল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আবু সুফিয়ান ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম ‘ডাব’, বিএনএম প্রার্থী এস এম নেওয়াজ মোরশেদ ‘নোঙর’, তৃণমূল বিএনপির মো. নাদির উদ্দিন খান ‘সোনালী আঁশ’ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলম ‘ঈগল’ প্রতীক পেয়েছেন। এদিকে, প্রতিক বরাদ্দ পেয়েই প্রার্থীরা নিজ নিজ আসন এলাকায় ভোটারদের মধ্যে গণসংযোগ শুরু করেন। তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ও দোয়া প্রার্থণা করছেন। বিশেষ করে খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল ও খুলনা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী এসএম কামাল বেশ জোরে সোরেই প্রচারণা-প্রচারণা শুরু করেছেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮১ জন। এ বছর জেলার ৬টি আসনে ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৭২০টি ভোট কক্ষ থাকবে। এর মধ্যে খুলনা-১ আসনে এবার ভোটার ২ লাখ ৯০ হাজার ২৬৫ জন। বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলার ১১০টি ভোটকেন্দ্র এবং ৬৭০টি বুথে তারা ভোট দেবেন। খুলনা-২ আসনে এবার ভোটার ৩ লাখ ২০ হাজার ২১৯ জন। খুলনা নগরীর সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা নিয়ে গঠিত এই আসনে ১৫৭টি ভোটকেন্দ্র এবং ৮৪৫টি বুথ রয়েছে। খুলনা-৩ আসনে এবার ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭০৯ জন। খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী থানা এলাকা নিয়ে গঠিত আসনটিতে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১৬টি। এবার ভোটকক্ষ থাকবে ৬৩৩টি। খুলনা-৪ আসনে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৫৩ জন। রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৩৩টি এবং ভোটকক্ষ রয়েছে ৮০৫টি। ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা এবং গিলাতলা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে খুলনা-৫ আসন গঠন করা হয়েছে। এই আসনে ভোটার ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২১৯ জন। ভোটকেন্দ্র ১৩৫টি এবং বুথ থাকবে ৮৪৫টি। কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনার সবচেয়ে বড় সংসদীয় আসন খুলনা-৬। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫ হাজার ৩১৬ জন। ভোটকেন্দ্র ১৪২টি ও ভোটকক্ষ রয়েছে ৯২২টি।