যোগিপোলে আ’লীগের নৌকার নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ : ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এস এম কামাল হোসেন
অফিসের চেয়ার, ত্রিপল, সাইডকাপড় ও ভ্রাম্যমান দোকান ভুষ্মিভূত
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ খুলনা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এস এম কামাল হোসেনের যোগিপোল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে অফিসে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অফিসের চেয়ার, ত্রিপল, সাইড কাপড় এবং অফিসের পাশে রাখা একটি ভ্রাম্যমান দোকান ভূষ্মিভুত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং খুলনা-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী এস এম কামাল হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলের পরিদর্শন করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবী যারা দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস করছে, যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছে তারাই নির্বাচনী শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার জন্য অফিসে নৌকার প্রার্থীর অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, খুলনা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এস এম কামাল হোসেনের যোগিপোল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী অফিসে গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কে বা কারা কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে। খানজাহান আলী থানার টহল পুলিশ অফিসের মধ্যে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ সময় অফিসের মধ্যে থাকা প্লাস্টিকের ১০টি চেয়ার, ১টি ত্রিপল, ১টি সাইড কাপড়, অফিসের পাশে থাকা একটি ভ্রাম্যমান দোকান পুড়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই ৭নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সুরুজ্জামান হানিফ ও সদস্য সচিব ইউপি সদস্য শেখ আমজাদ হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সুরুজ্জামান হানিফ বলেন, যারা দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস করছে,যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছে তারা নির্বাচনের পরিবেশকে ঘোলাটে করার জন্য আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে। সদস্য সচিব শেখ আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা রাত ১০টার পর অফিস ত্যাগ করি যার যার বাড়িতে চলে যাই। পার্শবর্তি পার্শবর্তি দোকানদার আইয়ুব আলী রাত ১টার দিকে দোকান বন্ধ করে চলে যায়। এর পর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে খবর পাই অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে দেখি খানজাহান আলী থানার টহল পুলিশের এস আই রফিকসহ পার্শবর্তিরা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল আসেন খুলনার উপ-পুলিশ কমিশনার মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার দৌলতপুর জোন আবুল বাশার, খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. মমতাজুল হক, ওসি তদন্ত পলাশ কুমার দত্ত, ৩৩নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, সদস্য সচিব কাজী জাকারিয়া রিপন, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান, কেসিসি ১নংওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদাৎ হোসেন মিনা, থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্জ মোড়ল আনিসুর রহমান, থানা আ’লীগ নেতা শেখ কামাল হোসেন, মনির শিকদার, ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোড়ল হাবিবুর রহমান, ইউসুফ আলী খলিফা, ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. সাইফূল ইসলাম, থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান রুপম, অলিয়ার রহমান রাজুসহ থানা, ওয়ার্ড ও সেন্টার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বেলা সোয়া ১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন খুলনা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্র্থী এস এম কামাল হোসেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি স্থানীয় আ’লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারীর ভোট উৎসবকে যারা বাধাগ্রস্থ করতে চায় তারা ভোটারদেরকে আতঙ্কিত করতে আগুন সন্ত্রাস করছেন। তিনি অগ্নিসন্ত্রাসীদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে সাব জানিয়ে দেন। ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবী জানান। এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. মমতাজুল হক বলেন, রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে নৌকা প্রতীকের যোগিপোল ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কাজী জাকারিয়া রিপন জানিয়েছে নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোাগের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।