খুলনা- ৫ আসনে জমে উঠছে নির্বাচনী প্রচারণা : নৌকা ও ঈগলের চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জ

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকী মাত্র ১২ দিন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসতেই দৌড়-ঝাপ বেড়েছে প্রার্থীদের। খুলনা- ৫ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর পূর্বে নৌকা প্রতীকের নিশ্চিত বিজয় মনে হলেও দিন দিন সে হাসি কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে যাচ্ছে। গত ২১ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন এর মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করা হলে বেশ আটঘাট বেধেই চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা। যার ফলে দুঃশ্চিন্তা বেড়েছে খুলনা- ৫ আসনের নৌকার হেভিওয়েট প্রার্থী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ও তার সমর্থকদের মাঝে। আগামী সংসদ নির্বাচনে অত্র আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নারায়ন চন্দ্র চন্দ (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত শাহিদ আলম মোড়ল (লাঙল), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত সেলিম আকতার স্বপন (হাতুড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন (ঈগল) সহ মোট চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। তবে, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শাহিদ আলম মোড়ল কোন এক অজানা কারণে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেননি। কিন্তু আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন তার ঈগল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে খুব সরব। যার ফলে অন্য প্রার্থীদের সাথে না হলেও এই দুই জনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন এলাকার বিশিষ্ট জনেরা। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং পুণঃরায় ২০১৪ ও ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় গত ২৯ নভেম্বর স্বেচ্ছায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন বলেন, খুলনা- ৫ আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার এর কাছাকাছি। আমার মনোনয়ন ফিরে পাওয়াতে এই বৃহৎ জনগোষ্ঠি রাস্তায় নেমেছে। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সঠিক স্থান খুঁজে পেয়েছে। মানুষ এখন পরিবর্তনে বিশ্বাসী। জনগণের এই চাওয়া তারা ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে প্রমান করবে বলে আমার বিশ্বাস।