এই উৎসব কোনো ধর্মের নয়- এ উৎসব সমগ্র বাঙালি জাতির

বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে এস এম কামাল এমপি
এম রুহুল আমিন ঃ বাংলা নববর্ষ ১লা বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ । রবিবার সকাল ৮ টায় খুলনার খালিশপুর থানা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সমন্বয়ে প্রভাতী স্কুল প্রাঙ্গণে ঈদ ও বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। বেলুন, ফেস্টুন ও শান্তির পায়রা উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে ঈদ ও বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। ঈদ ও বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ নববর্ষে বাঙালির চিরাচরিত প্রথা পান্তা-ইলিশ গ্রহণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা। ঈদ ও পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন অনুষ্ঠানে খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এই উৎসব কোনো ধর্মের নয়- এ উৎসব সমগ্র বাঙালি জাতির। আমরা বাঙালি, আমাদের তো আলাদা একটা কালচার-সংস্কৃতি রয়েছে। যা পৃথিবীর সবার থেকে আলাদা। এই সংস্কৃতি আমরা সবাই গভীরভাবে লালন করি। এই একটি অনুষ্ঠানই বাংলা এবং বাঙালি জাতিসত্ত্বাকে একক ভাবে ধারণ ও লালন করে। কারণ এখানে সকল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই নববর্ষের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। বাঙালি জাতিসত্ত্বার উন্মেষ এবং বিকাশ লাভেও এই অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা সবাই জানি যে নববর্ষের শুরুটা হয়েছিল ফসলি সন কে কেন্দ্র করে মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে।কিন্তু এটি এখন আর ফসলি সন নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং স্বাধীনতার যে চেতনা অসাম্প্রদায়িক সে চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষ একতাবদ্ধ কাজ করতে হবে। তাহলে এই দেশটি ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, সকল ধর্মের অপসংস্কার মুক্ত এবং অপসংস্কৃতি মুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে পারবো। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের ও ভাতের অধিকার বাস্তবায়ন করেছেন। বাংলাদেশকে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত করেছেন। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলছি,এলাকায় কোন মাদক,জুয়া,ইপটিজিং ও কিশোর গ্যাং থাকবে না, মাদক মুক্ত করতে হবে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার সাথে যদি কেউ ঘোরে,তারা যদি মাদককে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। তাহলে আপনারা আমার বাসার মধ্যে থেকে ধরে নিয়ে যাবেন। আপনাদেরকে কেউ বাধা দিবে না। আমি এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই। এটিই হোক নববর্ষের প্রথম দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা। ঈদ ও পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবলুর রানা।উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন খালিশপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু,খানজাহান আলী থানা আ’লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন,খালিশপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম বাশার,দৌলতপুর থানা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বন্দ,শেখ আনিছুর রহমান,এম এ সেলিম,আখাংকা গ্রুফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মাহাবুব রহমান, সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদ হাসান পিকু,৩নং ওয়ার্ড সভাপতি আছিফুর রশিদ আছিফ,। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৩ আসনের অর্ন্তগত প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারন সম্পাদক সহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।ঈদ ও পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক কাইজার আহমেদ।