স্থানীয় সংবাদ

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিলের ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান

# সংবাদ সম্মেলন #

বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন পরজিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জামিল হাসান জামু। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে উপজেলার ভাগা বাজারে তার নির্বাচনি কার্য্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি আগের দিনের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আবু সাইদ, হাজী আ. হান্নান, ও গাজী রাশেদুল ইসলাম ডালিম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জামিল হাসান বলেন, ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রামপাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রামপাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত ফলাফল দেওয়া হয়। ফলাফলে দেখা যায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬৮৬ টি। ওই পদের শতকরা ভোটের হার ৩৬.৬৫ শতাংশ। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৪৩ টি। ওই পদের শতকরা ভোটের হার ৩৬.৬৯ শতাংশ। চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫০ হাজার ৮৩৭ টি। ওই পদের শতকরা ভোটের হার ৩৬.৭৬ শতাংশ। তিনি জানান, বাতিলকৃত ভোটসহ প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার একই হওয়ার কথা থাকলেও এখানে গড়মিল দেখা যায়। মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের চারটি কেন্দ্র ছোট সন্নাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মল্লিকের বেড় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সন্নাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গফুর মেমোরিয়াল নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, পেড়িখালী ইউনিয়নের বড়কাটালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের জিয়লমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট গণনা শেষ হতে দুই ঘন্টার বেশী লাগার কথা নয়। প্রিজাইডিং অফিসারদের ভোট গণনার পরে কন্ট্রোল রুমে আসতে দুই ঘন্টার বেশি সময় নেওয়ায় কথা নয়। এতে করে সকল কেন্দ্রের ফলাফল রাত ৮ টা থেকে ৯ টার মধ্যে কন্ট্রোল রুমে পৌছানোর কথা। সেখানে প্রিজাইডিং অফিসারগণ রাত সাড়ে ১০ টার পরেও ফিরেছেন। ৩৬ বা ৩৭ শতাংশ ভোট গণনা করতে এত সময় লাগার কথা নয়। যা যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। আমার নিয়োগকৃত এজেন্টদের বের করে দেয়া, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাগণ ভোটের ফলাফলের শীট এজেন্টদের কাছে সরবরাহ করেন নাই। নির্বাচনের পরে বিভিন্ন স্থানের আমার নেতাকর্মীদের মারপিট করা হয়েছে। এখনো হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তার অভাবে অনেকে বাড়ী ঘর ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মাধ্যমে উপজেলার মল্লিকেরবেড়ের সকল কেন্দ্র, ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের সকল কেন্দ্র, পেড়িখালী ইউনিয়নের সকল কেন্দ্র ও হুড়কা ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রের কাপ-পিরিচ প্রতীকসহ চেয়ারম্যান পদের সকল প্রার্থীর ফলাফল পুনরায় গণনার জোর দাবী করেন। এ ছাড়াও তিনি জানান, পরিকল্পিতভাবে কারচুপির মাধ্যমে আনারস প্রতীকের প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে। আচারণবিধি লঙ্গন করে খুলনার এক প্রভাবশালী নেতা ১৫ দিন ধরে এলাকায় এসে প্রকাশ্যে আনারস প্রতীকের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য এলাকার ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করেন। তার মদদেই পরিকল্পিতভাবে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আমাকে পরাজিত ঘোষনা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নিবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন জামিল হাসান জামু।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button