স্থানীয় সংবাদ

মাছ মাংস ডিমের দাম চড়া কমেনি সবজির বাজার

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ কাচা বাজার গুলোতে মাছ মাংস, ডিমের দাম বেশ চড়া থাকলেও কমেনি সবজির বাজার। গেল মে মাসের শুরুতে তিব্র দাবদাহে কারণে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কাঁচা বাজার গুলোতে। এতে করে নি¤œ ও মধ্য বিত্তরা যেন হাস-ফাস অবস্থায়। নগরীর বিভিন্ন কাচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। রুই ৩০০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা, প্রকারভেদে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কালবাউশ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা ও ইলিশ মাছ ছোট সাইজ ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ছোট মলা মাছ ও বিক্রি হচ্ছে ৪০০শ টাকা কেজি, টেংরা মাছ ৬০০ টাকা হতে ৭০০ টাকা কেজি, চিংড়ি মাছ প্রকার ভেদে ৬৫০ হতে ৮০০ টাকা প্রতি কেজি। কমেনি সবজির দামও। বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি, লাউয়ের দাম ৩০-৪০টাকা টাকা। এছাড়া বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১ পোয়া ছোট চিকন ঝাল ৫০ টাকা ২৫০ গ্রাম। পটল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেগুন ৭০ টাকা কচুর বই ৫০ টাকা। মাংসের বাজারে ঘুরে দেখা যায় লাল রং এর লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা প্রতি কেজি, কক, মুরগি ৩৪০ টাকা প্রতি কেজি, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি, সোনালী ৩৩০ টাকা দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি। এ দিকে ডিমের দাম ও বেড়েছে ১০ টাকার পিসের ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা। সাদা ডিমের দাম কম থাকেলেও লাল ডিমের দাম আরও বেশি। এ বিষয়ে ডিম ব্যবসায়ি রাসেল বলেন, ভাই টাকা অগ্রীম দিয়েও ডিম পাওয়া যাচ্ছেনা যেকারণে ডিমের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি, খাসি ১০০০ হতে ১০৫০ টাকা, কেজি দরে। তবে গরুর অন্যান্য অঙ্গ যেমন ফেপশা ৪৫০ টাকা কেজি ও মাথার মাংস ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা একজন ছোট আউট সোর্সিং কর্মচারী নাজমুলের সাথে তিনি বলেন, সামান্য একটি ছোট চাকুরী করি নিয়মিত বেতন পাওয়া যায়না। এরপরও সব কিছুর দাম চড়া। কাচা বাজারে গেলে নিজেকে অসহায় মনে হয় হাজার টাকা খরচ করলেও ছোট একটি ব্যাগ ভরেনা। সব কিছুর দাম বেড়েছে। গেল মাসের তুলনায় ঈদেও সবজির বাজার ছিল সহনশীল। কি করব তারপরও চলতে হবে। আগে যেখানে ১ কেজি ক্রয় করতাম এখন সেখানে হাফ কেজি ক্রয় করছি। একমাত্র বাজারে সাগরের মাছ আর পাঙ্গাস মাছ ছাড়া সব মাছের কেজি ৫০০ টাকার উপরে। এ বিষয়ে কথা হয় সবজি বিক্রেতা মান্নান এর সাথে তিনি বলেন, আড়তে সব ধরনের সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় অনেক কম থাকায় দামের উপর একটি প্রভাব পড়েছে। মূলতঃ গেল কয়েক সপ্তাহ তিব্র গরমে সবজি সহ সবকিছুর উপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। সব কথার শেষ কথা হলো চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকলে দাম বেশি হবে ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button