সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা : চলছে নানা গুঞ্জন
পাইকগাছা প্রতিনিধি ঃ সদ্য সমাপ্ত গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে এলাকার জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার পায়তারা করছে একটি মহল। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮০% এর উপরে ভোটার উপস্থিতির কথা বলে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তিকর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সচেতন মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এহেন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা তথ্য দেখে হতবাক হয়েছেন। মূল তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি বিশেষে এ সমস্ত আপত্তিকর বিভ্রান্তিমূলক ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় নির্বাচনী ফলাফলে সুকৌশলে কালিমা লেপন করেছ। এই বিভ্রান্তিকর পোষ্টদাতাদের বেশীরভাগই অতিউৎসুক ভোট বর্জনকারী বিএনপি-জামায়াত জোটের সক্রিয় সদস্য। সচেতন মহাল তাদের-কে পূনরায় অংক শিখে আসার দাবীও জানিয়েছেন। অতিউৎসুক ভোট বর্জনকারী বিএনপি-জামায়াত জোটের সক্রিয় এসব সদস্য জনগনকে যে কোন পরিস্থিতিতে বিপদের মধ্যে ফেলে দিতে পারে! বিতর্কিত হতে পারে সরকারের ভাবমূর্তি। তাদের আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিমূলক পোষ্টের মধ্যে কে আর আর মানিকতলা কেন্দ্রে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮৪% ভোটার উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। অথচ উক্ত কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৬১৩৮ জন, ভোটার উপস্থিতি ২২২২ জন, যার শতকরা হার ৩৬.২০। কপিলমুনি কেন্দ্রে বলা হয়েছে ৮০% ভোট পড়েছে। অথচ একেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৫০৭৫ জন, ভোটার উপস্থিতি ২৪১২ জন, যা ৪৭.৫২%। হাউলি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৭০৫ জন। ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১৩৮০ জন, যা শতকরা ৩৭.২০। রেজাকপুর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৩৪৯, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১১১৮টি, যা শতকরা ৪৭.৫৯। নাবা কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৭১১, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১২৯৫, যা শতকরা হার ৪৭.৭৬। অথচ তথা কথিত কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার মাধ্যমে সু কৌশলে অপরিপক্ক ভাবে ভোটার উপস্থিতি শতকরা ৮০% ও ৮৪% ইত্যাদি লিখে পোস্ট করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সঠিক তথ্য প্রচার না করে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার করায় তথা কথিত কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট দাতাদের বিরুদ্ধে তথ্য আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর ছিল। ভোটে কোথাও কারচুপি হয়েছে কিংবা অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে এসব অভিযোগ গুজব মাত্র। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানিয়েছেন সুষ্ঠু ভাবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কাউকে কোন গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন। কোথাও কোন অনিয়ম হয়নি এমনকি প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনার পর প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টরা প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে রেজাল্টসিট বুঝে নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।