কেসিসির নাগরিক সেবা সম্পূর্ন ভেঙ্গে পড়েছে

দুর্নীতিবাজদের বিচার চেয়ে মিছিল
স্টাফ রিপোর্টারঃ সংকটকালিন অবস্থায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নয়টি পদে রদবদল করা হয়েছে। বুধবার কেসিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ রদ বদল করা হয়। দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে এ রদ বদল করা হয় বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়। বদলকৃত কর্মচারিরা হলেন, চীফ প্লানিং অফিসার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবির উল জব্বারকে চীফ প্লানিং অফিসার পদে, সহকারি কনজারভেন্সী অফিসার মোল্লা মারুফ রশিদকে সহকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে, সহকারি কনজারভেন্সী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমানকে করধার্য শাখার চীফ এ্যাসেসর পদে, ২নং ওয়ার্ড কনজারভেন্সী সুপারভাইজার খান হাবিবুর রহমানকে লাইসেন্স অফিসার (যানবাহন) পদে, পাবলিক হলের সুপারিনডেন্ট মনিরুজ্জামান রহিমকে সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার (এসএলও) পদে, কনজারভেন্সী শাখার নি¤œমান সহকারি নাজমুল হক মুকুলকে করধার্য শাখার সুপারিনটেনডেন্ট পদে, সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার (এসএলও) ফারুখ হোসেন তালুকদারকে কনজারভেন্সী সুপারভাইজার পদে, করধার্য শাখার সুপারিনটেনডেন্ট শামীমুর রহমানকে কনজারভেন্সী সুপারভাইজার পদে এবং লাইসেন্স অফিসার (যানবাহন) রবিউল আলমকে কর আদায় শাখার ডিমান্ড সহকারি পদে বদলী করা হয়। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে বুধবার সকালে নগরভবনে সহকারি কনজারভেন্সী অফিসার নুরুন্নাহার এ্যানির বিরুদ্ধে কনজারভেন্সী বিভাগের কর্মচারিরা মিছিল বের করে। তারা তার দুর্নীতি আর অনিয়মের বিচার চায়। সহকারি কনজারভেন্সী বিভাগের সুপার ভাইজার হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ মিছিল হয়। অন্য দিকে ক্ষুব্দ আর বঞ্চিত কর্মচারিরা সহকারি কনজারভেন্সী অফিসার নুরুন্নাহার এ্যানির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। মাস্টাররোলে চাকুরি দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু চাকুরি দিয়েছেন আউট সোসিং-এ। আবার আ্উট সোসিং-এ চাকুরি দিয়ে ৩০ দিন কাজ করিয়ে মজুরি দিয়েছেন ১৫/২০ দিনের। বাকী টাকা তিনি আতœসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। রেশমা খাতুনসহ ৫৩ জন শ্রমিক স্বাক্ষরিত অভিযোগনামা বুধবার কেসিসি কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করা হয়। অন্য দিকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস থাকলেও হাতে গোনা কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি অফিসে আসলেও অধিকাংশ দুপুরে সাথে সাথে নগরভবন ত্যাগ করেন। সব মিলিয়ে নাগরিক সেবা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে বলে খুলনাবাসী জানায়। এদিকে নগরভবনে একটি গ্রুপ নাগরিক সেবা না দিয়ে ইচ্ছামত চেয়ার দখলে মেতে উঠেছেন। কেন কোন চেয়ারে যাবেন তা সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন ওই গ্রুপের নেতারা। তারা নগরভবনে বসে অফিস টাইমে দফায় দফায় বৈঠক করছেন কেসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তার রুমে। এতে করে নগরবাসী নাগরিক সেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় চাপে চেইন অপ কমান্ড ঠিক রাখতেই এই রদ বদল করা হলো। রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিবর্তনের কারণে অনেক কর্মচারি নিরাপত্তার কারণে অফিসে আসতে পারছে না। তবে বিষয়টি ২/৪ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তেলের সংকটে কেসিসির কোন যান বাহন চলছে না। কারণ কেসিসির নিজস্ব তেলের পাম্প দুর্বৃত্ত ভেঙ্গে তেল লুট করে নিয়ে গেছে। যেহেতু মেয়র উপস্থিত নেই, সেহেতু নগদ অর্থ খরচ করার ক্ষমতা তার নেই। সে জন্য কনজারভেন্সী বিভাগ পরিচ্ছন্ন কাজ করতে পারছে না। মেয়র কোথায় আছে তা তিনি জানেন না। যার জন্য মঙ্গলবার তিনি মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছেন আর্থিক ক্ষমতা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি উল্লেখ করে। তিনি বলেন, বহিরাগতরা নগরভবনে ঢুকে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। বিষয়টি নিয়ে সবাই উদ্বিঘœ বলে তিনি জানান।