খুমেক হাসপাতাল ও সদর হাসপাতাল ঘিরে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য থামছেনা

শেখ ফেরদৌস রহমান : খুলনা সরকারী জেনারেল হাসপাতালের সামনে দালাল চক্রদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছে। কোন ভাবে লাগাম টানা যাচ্ছেনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কঠোর নজরদারি না থাকায় গ্রামের অসহায় রোগীদের কাছে থেকে প্রতার ণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। পাশাপাশি এসব দালাল চক্রের মুল টার্গেট থাকে গ্রামের অসহায় চিকিৎসা প্রত্যাশি রোগীরা। আর এসব দালালদের ফাদেঁ পড়ে অর্থ খুইয়ে ও সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেনা ভুক্তভোগীরা। এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে খুলনা সরকারী জেনারেল হাসপাতাল ঘিরে। যেখানে দেখা যায় সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে সহ হাসপাতালটির মূল ফটকে অপেক্ষায় আছে এসব দালালরা। সুযোগ বুঝে রোগীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পছন্দের ডায়গানস্টিক সেন্টারে। আর হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। এর আগে এসব দালালরা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির হাতে আাটক হলেও কোন ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ না থাকায় বা মামলা না হওয়ার কারণে তারা পার পেয়ে যাচ্ছেন। কিছুদিন পর জামিনে এসে আবোরো সক্রিয় হয়ে উঠছে। সরেজমিনে দেখা যায় নগরীর খুলনা সদর হাসপাতাল ঘিরে গড়ে উঠেছে শক্তিশালি দালাল চক্র। এসব দালালদের সাথে রয়েছে মহিলা দালাল সহ আট থেকে দশ জনের একটি করে দল । যারা নজরে রাখে রোগীদের হাটা চলা। তবে ভিন্ন চিত্র খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেখানে পুরুষ মহিলাসহ প্রায় শতাধিক এর বেশি রয়েছে দালাল চক্র। যার মধ্যে মহিলা দালালের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। এছাড়া জরুরী বিভাগের সামনে থাকে একটি অংশ। কথা বলেন, ভুক্তভোগী রোগী আমেনা বলেন, পাইলস এর সমস্যার জন্য হাসপাতালে পৌছলে টিকিট কাউন্টার থেকে এক নারীর মিস্টি কথায় খুব ভাল সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে তাকে ভাল ভাবে দেখবে চিকিৎসক সরকারী হাসপাতালে ভাল করে রোগী দেখেনা এমনটি বলে নিয়ে যায় উদয়ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখান থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকার বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় টেষ্ট করেন। তবে তার শরীরের কোন উন্নতি হয়না। পরবর্তিতে তিনি আবারো হাসপাতালে আসেন সেখানে চিকিৎসক গালিব স্যার দেখে তাকে দ্রুত অপারেশনের কথা বলেন। এরকম প্রতিদিন শ,শ রোগী দালালদের হাতে পড়ে বিনা প্রয়োজনে বিভিন্ন পরিক্ষার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। আর এর সাথে ও জড়িত রয়েছে এসব বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কতিপয় অসাধু চিকিৎসক। বিষয়টি নিয়ে সচেতন নাগরীক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বেসরকারী হাসপাতালে নিবন্ধন নেই বলে অভিযান চলছে। তবে এর আগে এসব দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা উচিত। কারণ এরা গ্রামের সরল মানুষদের টার্গেট করে প্রতারণা করছে। পাশাপাশি অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো মনগড়া রিপোর্ট করে রোগীদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিক্ষা করবেন দেখবেন একই পরিক্ষার ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট আসছেন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের বলব আপনারা এসব দালালদের নিয়ন্ত্রণ করুন। আগে রাজনৈতিক নেতাদের চাপ ছিল তবে এখন নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কঠোর হলে ব্যবস্থা নেয়া যায়। এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ গৌতমত কুমার পাল বলেন, আমি এই দালাল নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে অনেক হুমকি খেয়েছি। এখানে একটি চক্র আছে যারা খুবই সক্রিয়। আমি এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে চাইলেও পারছিনা। তারপরও আমি বিষয়টি দেখছি।