খুলনায় বিএনপি অফিস ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় মামলাঃ সাবেক তিন কাউন্সিলরসহ আসামী ২শ’ জন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনায় বিএনপি অফিস ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় সাবেক তিন কাউন্সিলর ইমরুল, খালেদ ও স্বপনসহ ২শ’ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গীয়াস এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, খুলনা মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তবে এ মামলায় কোন আসামী গ্রেফতার নেই বলে তিনি জানান। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সরকারী বিয়োধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নিস্তব্দ করার জন্যে খুলনাসহ দেশব্যাপী আওয়ামীলীগ ও তাহার অঙ্গ সংগঠনের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত বিভিন্ন সংগঠনের অফিস এবং মিছিলে হামলা করে। এর ধারাবাহিকতায় উল্লেখিত আসামীগণ গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর কেডি ঘোষরোডস্থ মহানগর বিএনপির অফিসের নীচে বাদী ও তার সহযোদ্ধারা অবস্থান করছিলেন। ঠিক ঐ সময় উল্লেখিত আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন আসামীগণ শর্টগান, বোমা, লোহার রড, রামদা, চাপাতি, হকিষ্টিকসহ অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের অতর্কিত আক্রমণ করে। আসামী ইমরুল, সাইদুর রহমান লিটন, সামছুজ্জামান স্বপন, জামিরুল হুদা জহর, গোপাল চন্দ্র, ইমরানুল হক বাবু তাদের হাতে থাকা শার্টগান যারা তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। তাছাড়া একাধিক ফাঁকা গুলি করে। আসামী শাহজাহান শিকদার, গোলাম মোস্তফা দুলাল, আকাশ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম তুহিন, দেলো, শামীমসহ আরো কয়েকজন বিএনপি অফিসের আশে পাশে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আসামী বাবুল খলিফা, জবার হাওলাদার, ইউনুস মুন্সী, আব্দুল হাই কচি, রাজু ওরফে নাটা রাজু বাদীসহ ৮/১০ জন কর্মীকে ঘিরে ফেলে তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠি দ্বারা পিটায়ে জখম করে। অন্যান্য আসামীগণ তাদের অফিসের ২য় তলায় উঠে অফিসে হামলা করে চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্র ভাংচুর করে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন আসামী টিভি, এসি, পোষ্টার, ব্যানার, মাইক সিস্টেম লুট করে নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য চার লক্ষ টাকা। বাদীসহ অনেকে বোমা স্প্রিন্টার এবং বাম পায়ের থাই ও পেটে শর্টগানের ছররা গুলি লেগে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হন। তখন স্বাক্ষীরা বাদীকে ইজিবাইকে করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তখন আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র কর্মীরা হাসপাতালে দিকে আসসে গুনে স্বাক্ষীগণ তাকে ওখান থেকে গোপনে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করে। উল্লেখিত আসামীগণের মধ্যে অধিকাংশ আসামী ঘটনাস্থল মহানগর বিএনপি অফিস আক্রমণের এক ঘন্টা পূর্বে ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির ৫নং ঘাটে অবস্থিত ইউনিট অফিসে আক্রমণ ও হামলা করে ওখানে অবস্থিত নেতা কর্মীদের আহত করে মহানগর বিএনপি অফিসের সামনে আসে। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেন। এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, ২১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ইমরুল হাসান(৪৩), শ্রমিক নেতা মাহবুব হাসান শামীম (৫২), গোঃ শামসু ব্যাপারী (৩৫), সাবেক কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন (৫৪), আহবায়ক ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ জামিরুল হুদা জহর (৫৭), গোপাল চন্দ্র সাহা (৫৫), ইমরানুল হক বাবু (৫০), শ্রমিক লীগ নেতা ভাগান মোল্লা (৫০), পাপ্পু শেখ (৩০), জব্বার হাওলাদার (৫২), মোঃ ইউনুস মুন্সী (৫২), সেলিম হাওলাদার (৫৫), ফারুক খাঁ ওরফে গলাকাটা ফারুক (৫০), বারেক হাওলাদার (৫০), মুনসুর খাঁ (৫৪), ভৈয়াব আলী (৫৫), বনি ওরফে জিনফাবুল (৩২), চন্দন ঘোষ, মোঃ হারুন (৫২), সভাপতি ২১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ চাপু মোঃ শাহজাহান শিকদার (৪২), খোকন ওরফে গদা খোকন (৪৫), কাঞ্চন শিকদার (৪০), জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ (৫০), গোলাম মোস্তফা দুলাল (৫৫), বাবলা (২৫), সোহেল (২৮), আল-আমিন (৩২), মোঃ তুষার মর্তুজা (৩৩), শহিদুল ওরফে মাইকিং শহিদুল (৪৫), বশির সর্দার (৪৮), রাকিব হোসেন উজ্জ্বল (২৫), মোঃ সালা নয়ন (২৬), আব্দুস সাত্তার খলিফা (৫০), নাসির ওরফে বোর্ড নাসির (৫০), জিহাদ (২৮), যতন (২৮), মোস্তফা শিকদার (৪২), মোঃ লিটু সুলতান (৪৪), মোঃ তরুন (২৭), মোঃ ইসমাইল (৩৮), আলমগীর হোসেন রানা (৪২), হারুন অর রশিদ (৪৮), খোকন ফরাজী (৪৮), মোঃ বাবুল খলিফা (৫০), সফি হাওলাদার (২৫), রানা শেখ (২৫), শেখ রফিকুল ইসলাম মুকুল (৩৮), জাহাঙ্গীর হাওলাদার কালেখা (৪০), দিদার শেখ (৪২), রাজু হাওলাদার, মোঃ চাঁন মিয়া (২৮), ইসলাম ভূঁইয়া (২৬), সাকিল শেখ (৪২), রাসেল শেখ (৩১), তানভীর জামান রাজু (৩৬), মোঃ আসাদ শেষ, সুমন শেখ ওরফে লোদা সুমন (২৫), আবুল পাটোয়ারী (২৬), কামরুল শেখ (২৬), বাদল হাওলাদার (২৮), শাহ বদরুজ্জামান বাচ্চু (৫৬), ইমান আলী (৪৮), মোঃ সেলিম হোসেন (৫০), গল্পব হাসান শুভ (২৮), মোঃ শামীম হাওলাদার (৩০), জুয়েল (২৫), শিবু সাহানী (৪০), বিপুল পোদ্দার (৫৫), কামাল হোসেন তোতা (৫২), কামাল ব্যাপারী (৪৪), জামাল ব্যাপারী (৪২), মোঃ কাজল (৩০), পিতা-মীর নুর ইসলাম, মোঃ জিয়া (৫৫), শাহাজান অরুন (৫৬), মোঃ শফিক (৫৫), মানিক শিকদার (৪২), আনিছুর রহমান (৪২), বিপ্লব পোদ্দায় (৪৫), রুবেল (৩২), শামীম (৪৮), মেঃ বিপ্লব (৪৪), মান্নান (৪৫), মোঃ শক্তি (৩৮), আরাফাত হোসেন পল্টু (৪৪), দেলোয়ার হোসেন দেলো (৫২), মোঃ জিয়া (৩৫), জাছরুল মোল্লা (৩২), রিপন হাওলাদার (৩২), সাইদুর রহমান লিটন (৫০), অনিক (২৫), নাসির (৪৫), শেখ ফরহাদ হোসেন (৫৪), ৭নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর শেখ খালিদ আহম্মেদ (৪০), সোহাগ বাসফোড় (২৭), মোঃ রকিবুল ইসলাম রফি (৫০), বাস মালিক সমিতির নেতা আনোয়ার হোসেন সোনা (৫৫), জয়ন্ত দত্ত (৪৫), ফারুক (৪২), মুল্লুক চাঁন (৪৩), শাজাহান মল্লিক (৫৫), নিজাম উদ্দিন (৫০), জুলফিকার মোড়ল (৫৫), সাইফুল ইসলাম তুহিন (৪৭), খোকন মোল্লা (৪৩), মনির শেখ ওরফে রিক্সা মনির (৪৬), মোঃ রাতুল খলিফা (২৪), উত্তর কাশিপুরের এনাম মুন্সী (৫০), জাবেদ (৫০), কালাম (৩৫), লিখদ (৩৫), মোজাহার ওরফে সোলো (৪০), লালু ওরফে খোড়া লালু (৪০), যেহেনী হাওলাদার (২৮), সাজ্জাদ হাওলাদার (৩০), সম্রাট হাওলাদার (৩৫), নাসির শেখ (২৮), মিলন (৩০), জলিল ওরফে বোমাক্ত জলিল (৫০), মিজানুর রহমান রাজা (২৮), রাজিব (৩০), কালা শওকত (৫০), রিপন (৫৫), আল মাসুদ (৪০), রাজু ওরফে নাটা রাজু (২৮), জাহিদ (৩০), আকাশ সেখ (৪০), মমিন গাজী (৫০), মিলন হাওলাদার (৩৫), আমির হাওলাদার (৫৪), ফেরদাউস মুন্সী (৩৮), জয়নাল আবেদীন ফরাজী (৪৮), বিল্লাল (৪০), মোঃ সেলিম হোসেন (৫৫), খাইরুল পাটোয়ারী (২৬), আলী মিয়া, লতিফ ওরফে বাইড়ে লতিফ (৪০), মোঃ সুমন (২৪), জেল কামাল, অহিদুজ্জামান মিঠু (৩৫), সাধারণ সম্পাদক মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ আসাদুজ্জামান রাসেল (৪০), জাকির (৫০), সুমন মোল্ল্যা (৪৫), মুজাহিদ মল্লিক (৪৫), মোহাম্মদ হোসেন মুন্না (৪০), ইব্রাহীম (৪৫), সাদ্দাম গাজী (৩৫), ইসরাফিল (৩৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন আসামী। বাদী বলেন, প্রধান আসামী সন্ত্রাসী মনা কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা বিচারাধিন। র্যাব তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছিল।