মোংলায় মুদি দোকানে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের মোংলায় মুদি দোকানে পন্য ক্রয় করতে গিয়ে তৃতীয় শ্রেনীর একজন ছাত্রী (১০) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় লম্পট মুদি দোকানী মিন্টু ফরাজীকে আসামী করে বৃহস্পতিবার মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে। এ দিকে পাশবিক নির্যাতনে অসুস্থ স্কুল ছাত্রী কে প্রথমে মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিলে অবস্থা অবনতি দেখে দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মোংলা উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন শাহজালাল পাড়া এলাকায় গত ৬ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনরা জানায়, ৬ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে মেয়েটি ১০০শ টাকা নিয়ে চিনি কেনার জন্য পার্শবর্তি শাহজালাল পাড়া এলাকার একটি মুদি দোকানে যায়। আশপাশে লোকজন না থাকায় খাবারের প্রলোভন দিয়ে দোকানের পিছনে নিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে জোর পুর্বক ধর্ষন করে মিন্টু ফরাজী নামের ওই মুদি দোকানী। এ সময় শিশুটির ডাক-চিৎকারে তার মা সহ এলাকার লোকজন ছুটে এলে দোকান থেকে পালিয়ে যায় মিন্টু। এ ঘটনায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় চিকিৎসক। পরবর্ত্তিতে এ ঘটনায় থানায় মামলা না করার জন্য ধর্ষক মিন্টুর পক্ষ থেকে শিশুটির পরিবারকে প্রান নাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেণ মেয়েটির স্বজনরা। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির মা বাদি হয়ে এলাকার জব্বার ফরাজীর ছেলে লম্পট মোঃ মিন্টু ফরাজীকে আসামী করে মোংলা থানায় মামলা করেন। মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুর ইসলাম বলেন, স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসা ও মামলা সহ সকল আইনী সহায়তা দেয়া হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান।