সম্পাদকীয়

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে

সারা বিশ্বে নারীদের জন্য স্তন ক্যান্সার ঝুঁকির বিষয় হলেও সচেতন থাকলে তা থেকে মিলবে মুক্তি। অজ্ঞতা ও অসচেতনতায় স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বাড়ছে। নিজে নিজের স্তন পরীক্ষার ওপর জোর দেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসিয়ের তথ্যমতে, প্রতি বছর নতুন করে ১৩ হাজার নারী এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর বছরে মারা যান প্রায় ৮ হাজার নারী। বর্তমান বিশ্বে নারীদের অন্যতম প্রধান ক্যানসার হলো স্তন ক্যানসার। বিশ্বে প্রতি বছর ২০ লাখের বেশি নারী এই রোগে আক্রান্ত হন। আর মারা যান প্রায় ৭ লাখ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমারে পরিণত হয়। সেটি রক্তনালির লসিকা ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যানসার। চলছে স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস। অক্টোবর মাস জুড়েই স্তন ক্যানসার বিষয়ে সচেতন করতে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ভেজালের এই যুগে ক্যানসার যেন ঘরে ঘরে। আর স্তন ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাসকে স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করা হয়। সারা বিশ্বে অক্টোবর মাসকে স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করার মূল লক্ষ্যই হলো পৃথিবীর সব নারীকে স্তন ক্যানসার বিষয়ে সচেতন করে তোলা এবং এর প্রাথমিক পর্যায়েই তা শনাক্ত করতে পারা। গবেষণায় দেখা গেছে, পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোয় স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের অধিকাংশের বয়স ৫০ বছর বয়সের বেশি। কিন্তু আমাদের দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীরা স্তন ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। সাধারণত অল্প বয়সে যে ধরনের ক্যানসার হয়ে থাকে, সেগুলো বেশি আগ্রাসী হয়ে থাকে। আমাদের লক্ষ্য হবে অল্প বয়সী নারীদের যে ধরনের ক্যানসার কাবু করে ফেলে, সেটিকে প্রথমে দমন করা। আমাদের দেশে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুহার এত বেশি হওয়ার প্রধান কারণ হলো অধিকাংশ রোগী চিকিৎসকের কাছে আসছেন আক্রান্ত হওয়ার তৃতীয় কিংবা চতুর্থ পর্যায়ে। তাই আমাদের দেশে সচেতনতা গড়ে তোলা খুবই জরুরি। একটু সচেতন থাকলেই এই ব্যাধিকে প্রতিরোধ করা যায়। ঝুঁকিতে থাকা এই ৯ শ্রেণির নারী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজে এ বিপদ এড়িয়ে চলতে পারেন। ৩৫ বছরের ওপরের নারীরা ম্যারেনাগ্রাফিক স্ক্রিনিং করে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button