১২নং ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

# বিএনপি নেতা খায়রুল ও তার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ির দলিল পত্রসহ স্বর্ণালংকার লুট #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নগরীর খালিশপুরে বিএনপি নেতা ও ক্যাবল ব্যবসায়ী মোঃ খায়রুল ইসলাম ও তার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ির দলিল ও কাগজ পত্রসহ স্বার্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় খালিশপুর থানা এলাকায় এঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় ১২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এস. এম. মাহামুদ পটাসহ ৭জনের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ খায়রুল ইসলাম। খায়রুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সর্বশেষ ১২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপি’র বিভিন্ন কর্মসূচি ও সামাজিক অনুষ্ঠানে তার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ ছিল। সে দীর্ঘদিন যাবত খালিশপুরে ক্যাবল ব্যবসার সাথে জড়িত। এদিকে, এঘটনায় আহ্বায়ক/সদস্য সচিব জাতীয়তাবাদী দল খুলনা মহানগর শাখার নিকটও একটি অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। ৫ই আগস্টের পরে মাহামুদ পটা খালিশপুর পৌরসভার মোড় এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল, এছাড়া ৬ই আগষ্ট পৌরসভা মোড়ে ড্রেনের কাজের রড ইট নিয়ে বিক্রি করে দেয় এমনকি সিটি কর্পোরেশনের গাছ কেটে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মাহমুদুন নবি শাহিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহাবুবুর রহমান সোহেল, আফরোজা নবী খান, এস.এম. মাহামুদ পটা, সেলিম কাজী ও মিলন বৃহস্পতিবার(২৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১১টায় পৌরসভা ও কাহিনুর মোড়ের মাঝা-মাঝি এলাকায় খাইরুলের বাড়িতে যান। খাইরুল তার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য তৈরী হওয়ার সময় হঠাৎ করে অভিযুক্তরা তার রুমের দরজা ধাক্কাতে থাকে। আর জোরে চিল্লায়-চিল্লায় তার নাম ধরে ডাকতে থাকে। তখন খাইরুল দরজা খুলে কে, কেন তাকে এমন চিল্লায় চিল্লায় ডাকছেন জিজ্ঞাসা করতেই অভিযুক্তরা তার গেঞ্জীর কলার ধরে টানতে টানতে দোতলা থেকে নিচে নিয়ে আসে। খাইরুলকে বাড়ি ছেড়ে এখনই চলে যেতে বলে তারা। আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে ক্যাবল ব্যবসা এখানে আর করতে পারবি না এবং তারা তার নিকট অর্থ দাবি করে। এরপর তারা তাকে কিল-ঘুশি মেরে মারাক্তক ফুলা যখম করে। উপর থেকে তার স্ত্রী শামিমা রহমান দেখতে পেয়ে তাকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য তাদের’কে থামতে বলেন আর নিচে নেমে আসেন। তার স্ত্রীকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কাঠের বাতা দিয়ে তার স্ত্রীর কোমড়ের নিচে বারি দেয় এবং তাকে মারাত্বক ফুলা যখম করে এবং তার হাতে থাকা বাড়ির দলিল ও প্রয়োজনীয় জরুরী কাগজ পত্র কেড়ে নেন। একপর্যায়ে তার স্ত্রীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন (ওজন ১৪আনা), হাতের বালা (ওজন ১ ভরি) তারা ছিনিয়ে নিয়ে হুমকী ধামকি দিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে অভিযুক্তরা। খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।