দৌলতপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার : সমম্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা শনিবার (০২ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় দৌলতপুর অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা খামার বাড়ির সরেজমিন উইং কৃষিবিদ মোঃ মোজদার হোসেন। প্রধান অতিথি বক্তৃতায় কৃষিবিদ মোঃ মোজদার হোসেন বলেন, মানসম্মত মেশিনারিজ গুলো আমদানি করবেন। মেশিন যন্ত্রাংশ যেন কৃষকের যন্ত্রণার কারণ না হয়। আমরা যেসব অঞ্চলে মেশিনারিজের ব্যবহার করবো সেই সব অঞ্চলে মাঠ পর্যায়ে যে ধরনের মেশিনারিজের চাহিদা সে ধরনের দিতে হবে।যাতে কওে অনিয়ম না হয়। দেখা গেল আমাদের এই দক্ষিণাঞ্চলে ছোট ছোট খন্ড জমি সেখানে বড় কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহার অনুপযোগী। কৃষকদের সাথে কিছু অসৎ চক্র জড়িত হয়ে এই বড় কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনগুলো উত্তর অঞ্চলের লোকজনকে দিয়ে দেয়। আর আমদানি কারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্দেশ্যে বলেন তারা যেন প্রতিটা উপজেলায় মেশিনারিজের খুচরা যন্ত্রাংশ সুলভে পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। মানসম্মত মেশিনারিজ গুলো আমদানি করবেন। মেশিন যন্ত্রাংশ যেন কৃষকের যন্ত্রণার কারণ না হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তৃতা আরো বলেন আমরা বিনা চাষে সরিষা করতে পারি রোপা আমন ধান কাটার ১৫ দিন পূর্বে ধানের মধ্যে আমরা যদি সরিষার বীজ ছিটিয়ে দিলে তাহলে ৮০/৮৫ দিনের মধ্যে আমরা একটি বাড়তি ফসল পেতে পারি। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে উপ সহকারী কৃষি অফিসারদের কাজ করতে হবে। কৃষকদের নিয়ে মাসে বা সাপ্তাহিক মিটিং করতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,আমদানী কারক প্রতিষ্টানকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। যে চুক্তি অনুযায়ী মেশিন সরবরহ করার কথা সে অনুযায়ী ১ বছর পর্যন্ত খুচরা যন্ত্রাংশসহ সার্ভিস দিতে হবে। তাহওে আমদানি কারকরা ভাল ও মানসমত মেশিন আমদানি করতে বাধ্য হবে। ১ হাজার মেশিনের মধ্যে কিছুদিন ব্যবহারের পর ৭শত মেশিন ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পরলে বুঝতে হবে মেশিনগুলো মান নিয়ন্ত্রণে যারা ছিলেন তাদের দায়িত্বে কতটা অবহেলা ছিল।
সাধারণ কৃষক ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার গন তাদের বক্তৃতায় বলেন ভর্তুকি সকল অঞ্চলে সমান করা উচিত। তা না হলে বৈষম্য থাকলে মাঠ পর্যায়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। মেশিনারির যন্ত্রপাতি গুলো নষ্ট হয়ে গেলে সাপ্লাই কোম্পানিগুলো ফ্রি সার্ভিস দিলেও তাদের কাছ থেকে বেশি দামে খুচরা যন্ত্রপাতি কিনতে হয়। কোন কোন কোম্পানির মেশিনের যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় না। যার কারণে মেশিন অকেজ হয়ে পড়ে থাকে। এগুলো কৃষকদের দোরগোড়ায় সচারচার পাওয়া গেলে মেশিনারিজ ব্যবহারটা বৃদ্ধি পাবে।এ জন সকলে মিলে কাজ করতে হব্।্ভুের্তুকী মুল্যে মেশিন কিনতে গেলে সরবরহকারীগন বাজার মুল্যেও থেকৈ অধিক সমূল্য নির্ধারন করে থাকেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন মেশিনারিজ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম শেখ, খুলনা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, সাতক্ষিরার উপ-পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর হর্টিকালচারের উপ-পরিচালক সঞ্জয় দাস, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার, কৃষিবিদ এস এম মিজান মাহমুদ, । পার্টনার সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোসাদ্দেক হোসেন, , কৃষিবিদ মোতাহার হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর রেজাউল করিম,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগী প্রফেসর মোঃ মোস্তফা কামাল, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ তুহিনুল হাসান,এটিআই’র মুখ্য প্রশিক্ষক কৃষিবিদ নাহিদ সুলতানা, কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম,মেহেদি হাসান কৃষিবিদ । সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার বাগেরহাট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক, বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিসার,উপসহকারী কৃষি অফিসার,বিভিন্ন উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষকগন, মেশিনারিজ সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন।