আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শামীমকে সেনাবাহিনীর ঘর উপহার
প্রবাহ রিপোর্ট ঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে আহত নাঙ্গলকোটের আদ্রা উত্তর ইউনিয়নের মেরকট গ্রামের মরহুম ইব্রাহীম খলিলের ছেলে পাঠাও বাইক চালক শামীম হোসেনের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনঃনির্মাণ করে দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী বিটিভি কার্যালয়ের পেছনে পুলিশের ছোঁড়া গুলি শামীমের ডান হাতের মাংস ভেদ করে বেরিয়ে যায়। এ সময় তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলে ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সরকারি খরচে তার চিকিৎসা হলেও তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয় বলে দাবি করেন। গতকাল রোববার দুপুরে শামীম হোসেনকে রান্নাঘর, টয়লেট-সহ তিন কক্ষ বিশিষ্ট নতুন ঘর হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুমিল্লা সেনানিবাসের ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফারুক হাওলাদার। নতুন ঘর বুঝে পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গুলিবিদ্ধ শামীম হোসেন, তার স্ত্রী মারজাহান বেগম ও মাতা শামছুন্নাহার বেগম। শামীমের ১৪ বছর বয়সী মারুফ হোসেন রনি ও ২বছর বয়সী হুমায়রা আক্তার লামিয়া নামে এক পুত্র ও কন্যাসন্তান রয়েছে। নতুন ঘর হস্তান্তর কালে উপস্থিত ছিলেন নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মেহেদি হাছান, থানা অফিসার ইনচার্জ এ.কে ফজলুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল খবির হোসেন, মেজর গোলাম শাহাদাত, নাঙ্গলকোট সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সৈকত, নাঙ্গলকোট প্রেস ক্লাব সহ সাধারণ সম্পাদক বারী উদ্দিন আহম্মেদ বাবর, সদস্য সাইফুল ইসলাম, সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন সমন্বয়ক নজির নোবেল প্রমূখ। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর পাঠানো প্রেস রিলিজে বলা হয়, ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে শামীম হোসেন গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা সিএমএইচ এ ভর্তি করে তার সকল চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হয়। সিএমএইচ এ চিকিৎসা কালীন সময়ে সেনাবাহিনী প্রধান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে সিএমএইচ পরিদর্শনকালে মোহাম্মদ শামীম হোসেন বন্যায় তার বাড়িটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সেনা প্রধানের নিকট উল্লেখ করেন এবং সহায়তার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে একটি বাড়ি তৈরি করে দেয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। সেনাবাহিনী প্রধানের অনুমোদনক্রমে জিওসি ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় সেনাবাহিনীর অর্থায়নে ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের অধীনে নাঙ্গলকোট সেনা ক্যাম্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শামীম হোসেনের জন্য রান্নাঘর ও টয়লেট সহ তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেয়া হয়।