মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির অফিস দখলের সময় সেনাবাহিনীর কাছে আলম হাওলাদারকে সোপর্দ
স্টাফ রিপোর্র্টার ঃ খুলনা মহানগরী পাইকারী ও খুচরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নিজস্ব বরফ ক্র্যাশ ঘর ও অফিস দখলের চেষ্টার সময় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম হাওলাদারকে গতকাল সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেছে ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় আলম হাওলাদারের শাস্তির দাবি এবং সমিতি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে গতকাল রোববার সকাল ৭টায় ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। নগরীর কেডিএ প্রান্তিক সুপার মার্কেটস্থ সমিতির প্রধান কার্যালয়ে গত ২ নভেম্বর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৩৬টি মৎস্য বাজারের উপদেষ্টা ও সমিতির সাধারণ সদস্যদের আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে মোঃ আব্দুর রাজ্জাককে অন্তবর্তীকালীন কমিটির প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যরা সদস্যরা হলেন আব্দুর রহমান ও মোঃ কামরুজ্জামান বাদশা। এ কমিটিকে সহযোগিতা করতে ২২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
মিছিলে মোঃ মোসলেম উদ্দিন (কেনা), আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ জুম্মান শেখ, আব্দুল ওহিদ, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ ফরিদ, আব্দুস সালাম, মোঃ হাবলি, মোঃ ডালিম, শিপন, মোঃ সেলিম, মোঃ শাহাজান সহ সমিতির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ২০০৯ সালে খুলনা মহানগরী পাইকারী ও খুচরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আলম হাওলাদার। ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর সমিতির কোনো কার্মকা-ে তার সম্পৃক্ততা ছিলো না। গত ৫ আগস্ট আ’লীগ সরকারের পতনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর আলম হাওলাদার পুনরায় সমিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পায়তারা চালাতে থাকেন। কিন্তু সমিতির সদস্যদের মধ্যে ঐক্য থাকার কারণে তিনি তার স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়। সর্বোশেষ গতকাল রোববার সকালে সমিতির বরফ ক্র্যাশ ঘর ও অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে দখলের চেষ্টা করলে সমিতির সদস্যদের তোপের মুখে ব্যর্থ হন। সমিতির সদস্যদের উত্তেজনার একপর্যায়ে আলম হাওলাদারকে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়।
মেসার্স আমিনিয়া ফিসের স্বত্তাধিকারী মোঃ শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলম হাওলাদারের কর্মক- খুবই আপত্তিকর। মেসার্স মধুমিতা ফিসের স্বত্তাধিকারী হাফিজ ফকির বলেন, আলম হাওলাদারকে সমিতির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার এবং দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সমিতির সদস্যপদ থেকে তাকে অবিলম্বে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।