দৌলতপুর মহেশ্বরপাশায় সন্ত্রাসীদের চাপাতির কোপে সিএনজি চালক জখম
# থানায় মামলা #
# ধারালো চাপাতি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে হাত প্রায় দ্বিখন্ডিত #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা মুন্সিপাড়া বউবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের ধারালো চাপাটির কোপে স্বপন হাওলাদার নামে সিএনজি চালক রক্তাক্ত জখম। দৌলতপুর থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সোয়া ১১ টায় স্বপন হাওলাদার সিএনজি বন্ধ করে মুন্সিপাড়া বৌ-বাজার এলাকার নিজ বাসায় যাওয়ার সময় পথের মাঝে ভুক্তভোগীর নিজ ঘরের সামনে গতিরোধ করে ধারালো চাপাটি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে হাত প্রায় দ্বিখন্ডিত করে দেয়। এ সময়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশেপাশের লোক এবং স্বজনরা নেমে এসে তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করে। ঢাকা পঙ্গু হাসপতালের চিকিৎসক বলছে ভুক্তভোগী আহত স্বপন হাওলাদারের হাত না থাকার সম্ভবনা রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার বাদী আসমা খাতুন এজাহারে উল্লেখ করেন ১নং আসামী মহেশ^রপাশা বৌ বাজার এলাকার মৃত্য আবুল সরদারের ২ ছেলে মোঃ মিজান সরদার (২৮) ও ২ নং আসামী মোঃ হাবিব সরদার (৩৫)সহ অজ্ঞাত ১/২ জন এসে তাদের হাতে থাকা চাপাটি ও রানদা দিয়ে আমার দেবর ভিকটিম স্বপন হাওলাদারের (২৫) গারে কোপ মারে সে বাম হাতে ঢেকালে কনু থেকে ২ খন্ড হয়ে ঝুলে পরে। সামান্য চামড়ায় ঝুলে আছে। মামলার বাদী আসমা খাতুন আরো বলেন, মোঃ মিজান সরদার (২৮) এর সাথে আমার দেবর স্বপন হাওলাদার (২৫) এর শালিকার বিবাহ হয়। সে নেসা গ্রস্থ হওয়ায় মিজানের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়। ডিভোর্সের পর থেকে উপরোক্ত আসামীগণ ডির্ভোসের দেয়া কাবিনের টাকা বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। আসামীরা আমার দেবরকে উক্ত টাকা ফেরত দিতে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা করে আসছে। আসামীরা আমার পরিবারের সাথে এক পর্যায়ে আরো বেশি উগ্র আচরন করতে থাকে। ৩১ অক্টোবর রাত অনুমান সোয়া ১১টায় আমার দেবর স্বপন হাওলাদার সিএনজি চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা বৌ-বাজার মোড়ে পৌঁছালে হঠাৎ করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসামী মোঃ মিজান সরদার এবং মোঃ হাবিব সরদারসহ অজ্ঞাতনামা ১/২ জন সুপরিকল্পিতভাবে একই উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র সন্ত্র, লাঠি শুটা, রামদা ও চাপাতি নিয়ে আমার হত্যার উদ্দেশ্যে আমার দেবরকে কোপ মারলে, উক্ত কোপ বাম হাত দিয়ে আটকাতে গেলে, বাম হাতের কনুইতে উক্ত কোপ হাত দিয়ে আটকাতে গেলে, বাম হাতের একই জায়গায় কোপ লেগে বাপ হাতের কনুই থেকে বাকী অংশ আলাদা হয়ে ঝুলে যায় এবং গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এলাকাবাসী জানান ইতিপূর্বে মিজান সরদারের নামে দৌলতপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কিশোর গ্যাং ও মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের সাথে জড়িত রয়েছেন। মিজানের যন্ত্রানায় এলাকার মেয়েরা রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে না। মেয়েদেরকে ইভটিজিং করেন। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে তার বিচার দাবি জানান। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্স (ওসি) মীর আতাহার আলী জানান,আমার অফিসাররা আন্তরিকতার সাথে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে, আমরা তাদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এবিষয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা নং-১ ।