খুমেক হাসপাতালকে দুই হাজার বেডে উন্নীত করাসহ ১৭দফা দাবি
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ খুমেক হাসপাতালকে দুই হাজার বেডে উন্নীত করাসহ ১৭দফা দাবিতে বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসী স্বারক লিপি পেশ করেছে সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে এগারো টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. মোহসিন আলি ফারাজীর অফিস কক্ষে এ স্বারক লিপি পেশ করা হয়। বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর প্রতিনিধি দল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২৫০ বেড দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে ৫০০ বেড থাকলেও ২৫০ বেডের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেনীর একই জন জনবল দিয়ে কাজ করায় এবং জন সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে রোগী ভর্তি ধারন ক্ষমতার চেয়ে ৩/৪গুন রোগী ভর্তি হয়ে জায়গা না পেয়ে ফ্লোরে, বারান্দায়, সিড়ির কোড়ি ডোরসহ যত্রতত্র রোগী থাকায় রোগীর স্বজনরা দুরে থাক, ডাক্তার নার্স স্টাফ চলাচল কষ্ট সাধ্য হয় অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা বিঘœ ঘটে। জন সংখ্যা বৃদ্ধির সাথেসাথে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে নিম্মবৃত্ত, নিম্মমধ্য বিত্ত ও মধ্যবিত্তদের একমাত্র স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার স্থান। (১) হাসপাতাল টি দ্রুতই ২০০০ হাজার বেডে উন্নীত করা। (২) প্রতিদিন অনেক মানুষ ডেঙ্গু জরে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সুস্হ করতে খুমেক হাসপাতালে আলাদা ডেঙ্গু রোগীর ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। (৩) সকল রোগীদের খাবারের মান আরও উন্নত করতে হবে। (৪) খুমেক হাসপাতালের বার্থরুমসহ যে সকল স্থান অপিস্কার অপরিছন্ন সে স্থান গুলি পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে হবে। (৫) হাসপাতালের ভিতর হতে সকল ভ্রাম্যমান বিভিন্ন পন্যের দোকান উচ্ছেদ করতে হবে। (৬) নিয়মিত পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। (৭) হাসপাতালের গেটের মধ্যে ঢুকলেই দেখা যায় বিভিন্ন মহিলা পুরুষ বসে আছে অবস্থা বুঝে রোগী ধরে যাদের হাতে অনেক সময় সর্বস্থ খোয়াতে হয়। এরা দালাল, এদের হাত হতে রোগী কে মুক্ত করতে হবে। (৮) হাসপাতালের মধ্যে ঢুকলে দেখা যায় গাড়ীর কারখানার মত সারি সারি এ্যামব্যুলেন্স দাড়িয়ে আছে, এদের সিন্ডিকেট ভেংগে সে গুলি যাতে বাইরে থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। (৯) যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ঔষধ পাচারের সহিত জড়িত তা চিহিৃত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। (১০) দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের চিহিৃত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। (১১) যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী সৎ এবং কাজের প্রতি আন্তরিক তাদেরকে প্রমোশন দিয়ে পদায়ন করতে হবে। (১২) যে সকল আয়া, বুয়া, বকসিস এর নামে জুলুম করে তাদের চিহিৃত করে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। (১৩) যে সকল ডা. টেষ্ট কমিশন বানিজ্যে জড়িত তাদেরকে চিহিৃত করে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। (১৪) যে ডাক্তারগণ খুলনা মেডিকেলের চিকিৎসক কিন্তু বাইরে রোগী দেখছেন তাদের ফি চার শত টাকা করতে হবে। (১৫) অবৈধ কমিশন বানিজ্যের সাথে জড়িত দের চিহিৃত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। (১৬) সকল ডাক্তার দের লেখা পেসক্রিপশন পরিস্কার স্পর্শ হতে হবে। (১৭) রোগী ও ডাক্তারদের মধ্যে বৈষম্য থাকলে তা দুর করতে হবে। এসময় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও অন্যকর্তাবৃন্দ আমরা খুলনাবাসীর নেতৃবৃন্দের কথা ধর্য্য সহকারে শুনেন এবং নেতৃবৃন্দকে আসস্থ করে বলেন গত ১৭ সতের বছরের জন্জ্ঞাল তো এক দিনে সরানো যাবে না, তবু আপনারা যে দাবি নিয়ে আসছেন আমরা এর সাথে সম্পূর্ণ একমত। এবং আমরা খুব দ্রুতই খুমেক হাসপাতালের সব শৃংখলা ফিরিয়ে আনবো আপনাদের কথা দিতে পারি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন. মেডিসিন বক্ষব্যাধি ও হৃদরোগ বিভাগীয় প্রধান ডা. মোস্তাফা কামাল, সহকারী পরিচালক নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী। এ সময় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, মো. কামরুল ইসলাম কামু, সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম ভুট্রো. এম এ জলিল, সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. সাকিল আহমেদ রাজা, আ. রাজ্জাক, কারি শরীফ মিজানুর রহমান, খালিশপুর থানার সাধারন সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, মো. ইকবাল আহমেদ তোকা, আ. মান্নান মুন্নাফ, মো. জয়নাল আবেদিন, মো. মাহাফুজুর রহমান বাচ্চু, মো. ইয়াহিয়া, মো. সবুজুল ইসলাম সবুজ, মো. মিকাইল হোসেন, তৈয়বুর রহমান, মো. আবু বক্কার, মো. আজমল হোসেন প্রমুখ।