স্থানীয় সংবাদ

৫ কোটি টাকার টেন্ডার না পাওয়ার অভিযোগে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদকে বিএনপি নেতা কর্তৃক শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত

যশোর ব্যুরো ঃ ৫ কোটি টাকার এমএসআরের টেন্ডার না পাওয়ার অভিযোগে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছেন শরফুদ্দৌলা ছোটলু। এ সময় কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাৎক্ষণিকভাবে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।এ তথ্য নিশ্চিত করেন তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ। পরে এঘটনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন তত্ত্বাবধায়ক। হাসপাতালে প্রশাসনিক দপ্তরের একাধিক সূত্রে জানা যায়,গত ২১ এবং ২৮ অক্টোবর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ‘এমএসআর’ পণ্য ক্রয় বিষয়ক (পাঁচ কোটি টাকা) টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়। ঐ টেন্ডারে যশোর জেলাসহ আস-পাশের জেলার বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ড্রপিং করে। এতে যশোর জেলা বিএনপির সদস্য শরফুদ্দৌলা ছোটলু টেন্ডার ড্রপিং করেছিলেন।কিন্তু উক্ত টেন্ডার ড্রপিংয়ে প্যারাগন হারমাইন ও জাজ কর্পোরেশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সর্বনি¤œ রেটে এমএসআর পণ্যের টেন্ডার পায়। পরে ঢাকায় অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। টেন্ডার না পাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। তখন শরফুদ্দৌলা ছোটলু বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাবিবুল্লাহসহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮জনকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদের রুমে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তারা তত্ত্বাবধায়কের গায়ে হাত তুলেন ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে জোরপূর্ব শরফুদ্দৌলা ছোটলু তত্ত্বাবধায়ককে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলে এবং জামার কলার ধরে টেনে বের করার উদ্দেশ্যে চেয়ার থেকে উঠিয়ে আনে অপমান করেন। এ সময় চিৎকার হাসপাতালে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী তত্ত্বাবধায়কের রুমে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় তত্ত্বাবধায়ককে হুমকি দিয়ে রুম ত্যাগ করে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে আতঙ্ক ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের ও সমন্বয়কদে সাথে আলোচনা করে পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে, হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগের ইসরাফিল হোসেন জানিয়েছেন,টেন্ডার ড্রপিং এর কোন তথ্য এখন দেয়া যাবে না। যারা টেন্ডার পেয়েছে তাদের কাগজপত্র ঢাকায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে। তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, বর্তমানে টেন্ডার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।তারপরও টেন্ডার না পেয়ে আমাকে লাঞ্চিত করেছেন তারা। বিষয়টি জেলা প্রশাসক সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button