অপরিপক্ক আগাম শীতকালীন সবজিতে বাজারে সয়লাব
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ অপরিপক্ক শীতকালীন সবজি টমেটো, ফুলকপি, শিম, বাধাকপিতে বাজারে সয়লাব। এছাড়া এসব সবজি বাজারে সয়লাব থাকলেও দাম বেশ চড়া। সাধারণ নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষেরা ক্রয় করতে না পারলেও বাজারে এসব সবজি সকল ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষন করছে । তবে এসব পণ্য বেশি দাম পাওয়ার আশায় অপরিপক্ক অবস্থায় সবজি বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে। এমনকি কাচা টমেটো পাকাতে ইথফিন, ডায়াথিন, ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল। এ বিষয়ে কথা হয় বাজার করতে আসা লিয়াকত আলীর সাথে তিনি বলেন, বাজারে-ভ্যানে সব জায়গায় আগাম অপরিপক্ক সবজি দেখা যাচ্ছে। তবে এসব সবজি দেখলেও প্রায় সব ক্রেতার খেতে ইচ্ছা হয়। বর্তমান চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে, টমেটো প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, শিম একটু দাম কম প্রতি কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, এছাড়া ফুল কপির দাম ১৫০ টাকা কেজির উপর, বাধা কপির দাম ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা প্রতি কেজি। আমি মাত্র হাফ কেজি টমেটো ৮০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছিলাম। বাসায় এনে সবজি রান্না করলেও এই টমেটোর কোন ঘ্রান পাওয়া যায়নি। এছাড়া খেতে কোন স্বাদ নেই। শুধু টাকাটাই জলে গেলো। একই অভিযোগ করেন গৃহীণী তাছলিমা আক্তার তিনি বলেন, আমি শিম কিনে করে রান্না করলেও সেই শীতকালীন সময়ে মত খেতে যে স্বাদ তেমনটি পাইনি। শিম খেতে কোন মজা পেলাম না। এ বিষয়ে কথা হয় সবজি বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস এর সাথে তিনি বলেন, এসব আগাম শীতকালীন সবজি গুলো আসছে রংপুর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া এলাকা হতে। আমাদের আশেপাশের অঞ্চলে এখনও শীতকালীন সবজির ফলন হয়নি। এখন অপরিপক্ক কি বুঝবনা নতুন সব কিছুর কদর একটু আলাদা থাকে। এছাড়া নুতন সবজির দাম তো বেশি থাকাটা স্বাভাবিক। এখন অপরিপক্ক কিনা বুুঝিনা। আমরা খুচরা বিক্রেতারা খুব বেশি লাভ করতে পারিনা। পরিবহণ খরচ, আড়ৎ খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে হিসাব করতে হয়। এমনিতে সবজির দাম একটু বেশি, অতি বৃষ্টি আর বণ্যায় অধিকাংশ ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জান ডাঃ শেখ মোহম্মাদ কামাল হোসেন বলেন, ইথফিন, ডায়াথিন মেশানো কোন ফল, বা সবজি খেলে কিডনির সমস্যা, বদ হজম ,লিভারে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এখন অনেক ব্যবসায়িরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এসব মেশাতে পারে যা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।