আন্তর্জাতিক

ন্যাটো থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নিতে পারেন ট্রাম্প

প্রবাহ ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার এ বিজয়ে জাতীয়তাবাদী আমেরিকানরা খুশি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের মাঝে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এবার ক্ষমতায় আসার আগেই ন্যাটোতে মার্কিন অংশীদারত্ব ও ইউরোপ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ফলে এবারের মেয়াদে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে যাচ্ছে সামরিক জোটটি, একই সঙ্গে কঠিন বার্তা যাচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনের কাছেও। গণমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্পের এই মেয়াদে ইউরোপীয় মার্কিন মিত্রদের একতা ধরে রাখার কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। এমনকি ন্যাটোর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা এবং নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করাকে প্রাধ্যান্য দিতে হবে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মূল স্লোগান ছিল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ অর্থাৎ আমেরিকার স্বার্থ সবার আগে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন এর মাধ্যমে সমকালীন সংকটের মধ্যে ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের পররাষ্ট্রনীতি একটি হোঁচট খেতে পারে। ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন, তিনি একদিনের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে ঠিক কীভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেননি ট্রাম্প। ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বজায় রাখবে তবে এই শর্ত দেয়া হবে যাতে মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য কিয়েভের কর্মকর্তারা সম্মত হয়। ট্রাম্পের বিজয়ে সবচেয়ে চিন্তিত ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো। হয়তো ট্রাম্প ন্যাটো থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নিতে পারেন, যা প্রায় এক শতাব্দী ধরে চলা সামরিক জোটের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ডেকে আনবে। যদিও এটি বিতর্কের বিষয়, আদৌ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা। অনেকে মনে করছেন এমন হুমকির মাধ্যমে ট্রাম্প ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সামরিক ব্যয় আরও বাড়ানোর চাপ দিতে পারেন, যাতে প্রতিরক্ষা সুরক্ষা খাতে মার্কিন ব্যয় কমে আসে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button