দৌলতপুরে এফ আর জুট ট্রেডিং এ সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুর
# ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি # দৌলতপুর থানায় এজাহার দায়ের #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দৌলতপুর এফ আর জুট ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড এ সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। দৌলতপুর থানাধীন রেল স্টেশনের পূর্বদিকে খান ব্রাদার্স প্রেস হাউজের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত শরীফ মোঃ ফজলুর রহমানের মালিকানাধীন এফ আর জুট’র প্রধান কার্যালয়ে রবিবার (১০নভেম্বর) আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১১টায় শ্রমিকদের হামলায় মূল্যবান ডকুমেন্টস সহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ভাংচুর করা হয়। এফ আর জুট ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড পরিচালক শরীফ মোঃ আসাদুজ্জামান ্এজাহারে উল্লেখ করেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন সুনামের সাথে পাট ব্যবসা করছি। এফ আর জুট ট্রেডিং কোম্পানী লি. এর পরিচালক হিসাবে নিয়োজিত আছি। দৌলতপুর থানাধীন রেল স্টেশনের পূর্বদিকে খাঁন ব্রাদার্স প্রেস হাউস এর ২য় তলায় আমার প্রধান কার্য্যলয় অবস্থিত। রবিবার অনুমান দুপুর সাড়ে ১১টায় হঠাৎ আমার অফিসে ঢুকে হাসান, হাকিম, ওয়াজেদ, ছাকু, লুৎফরসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ হামলা ও ভাঙ্গচুর করে। এই সময় আমি অফিসে উপস্থিত না থাকায় আমার অফিস স্ট্যাফের মোবাইলে ঘটনার কথা জানায় । আমি অফিসে গিয়ে দেখি অফিসের মধ্যে থাকা কাঁচের টেবিল, দরজা, ৩টি কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টার, সোফা ও ১টি ফটোকপি মেশিন সহ অন্যান্য আসবারপত্র ও জিনিস সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে ফেলেছে। যার মধ্যে একটি মাস্টার পিসি ছিলো যেটিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৩৫ বছরের ডকুমেন্ট সংরক্ষিত ছিলো। এতে আমার অফিসের মুল্যবান মালামাল্ ও নগদ টাকা সহ ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে জানতে পারি হাসান ও হাকিম এই হামলার ঘটনায় সরাসরি অংশগ্রহণ সহ নেতৃত্ব দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার অফিসে হামলা ও ভাঙ্গচুর করেছে। চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকী দেয়।আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে এ সন্ত্রাসী হামলার সঠিক বিচার কামনা করি। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্স (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন,আমি জেনেছি শ্রমিকদের পাওনা টাকা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। তারা টাকা না পেয়ে অফিস ভাঙচুর করেছে। এটি আসলেই দুঃখজনক।আমি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমরা এটি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করব।এ দৌলতপুর এফ আর জুট ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড এ সন্ত্রাসী হামলা ওভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে রিপোর্ট লেখাকালীন দৌলতপুর থানায় হাসান, হাকিম, ওয়াজেদ, ছাকু, লুৎফর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।