বটিয়াঘাটায় বিএনপি নেতা কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি ঃ বটিয়াঘাটা গঙ্গারামপুর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আরাফাত গাজী গত রবিবার বিকেলে বটিয়াঘাটায় সদরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। লিখিত অভিযোগ জানা যায় ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম হালদার (৪২), আজগর হালদার (৩৫),কাশেম আলী হালদার (৪২) ফেরদৌস মলঙ্গী (৩৫),শরীফ শেখ (৩৪),ছলেমান বিশ্বাস(৩২),সিদ্দিক শেখ (৩৫), বাবলু (৪৫),শাহাদাত শেখ (৪০), হান্নান শেখ (৫৫)সহ অজ্ঞাত নামা ৮০/৯০ জন। মিলে গত ৯ নভেম্বর রাত ৮ টার সময় বটিয়াঘাটা থানাধীন কায়েমখোলা হুলা তিন রাস্তার মোড়ে আমার উপর আক্রমণ করে। আমি একজন গরীব মানুষ। নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। বিবাদীরা স্বৈরাচারী হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল ও শেখ সোহেলের খুব ঘনিষ্ট হওয়ায় স্বৈরাচারীর আমলে তার বাহিনী নিয়ে এলাকায় নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো। বিবাদীরা খুব দুর্ধর্ষ প্রকৃতির হওয়ায় তাদের ভয়ে এলাকার নিরীহ জনগন কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না। আমি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করার কারনে ২০১৬ সালে আমার নামে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যএকটি জেলে কার্ড বরাদ্দ দেন। সেই থেকে আমি আমার কার্ড থেকে চাল উত্তোলন করি। বিবাদী আসলাম চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমি আমার কার্ড থেকে কোন চাল উত্তোলন করতে পারি নাই। যার কারনে বিষয়টি নিয়ে আমি চেয়ারম্যানকে জানালে সে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। উক্ত বিষয় নিয়ে আমি বিজ্ঞ আদালতে সি আর ২৮৮/২৪ (বটি) মামলা করি। মামলা করার পর থেকে ১ নং বিবাদী তার সহযোগীদের দিয়ে আমাকে মামলা উঠানোর জন্য চাপসৃষ্টি সহ গত অনুমান ১২ দিন পূর্বে আমাকে ৩ নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পেয়ে ১ নং বিবাদী আমার নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং উক্ত মামলা উঠানোর জন্য ৩ দিনের সময় দেয়। আর আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমি যদি ঘটনার বিষয় নিয়ে কাউকে জানাই বা কোর্ট থেকে মামলা তুলে না নেই তাহলে আমাকে মারপিট করে খুন জখম করিবে মর্মে হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি এলাকার গন্যমান্য লোকজনদের অবহিত করি। আমি কেন গন্যমান্য লোকজনদের জানিয়েছি তার কারনে বিবাদীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আমার ক্ষতি করার জন্য লিপ্ত থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৯ নভেম্বর রাত অনুমান ৮ টার সময় বটিয়াঘাটা থানাধীন কায়েমখোলা হুলা তিন রাস্তার মোড়ে আমি চা খাওয়ার জন্য আসি। তখন সেখানে ১ নং বিবাদী সহ অন্যান্য বিবাদীরা ৩০/৩৫টি মোটর সাইকেল যোগে সেখানে এসে আমার পথরোধ করে ঘিরে ধরে। আমি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ১ নং বিবাদী সহ সকল বিবাদীরা আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং হুমকি দিয়ে বলে তুই এখনও আমাকে চাঁদা বাবদ টাকা দিস নাই। তুই যদি চাঁদার টাকা না দিস এবং মামলা তুলে না নিস তাহলে তোকে মারপিট করে হত্যা করিব। আমি বিবাদীদের হুমকিতে ভয় পেয়ে সুযোগ বুঝে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে ধান ক্ষেতের মধ্যে গিয়ে লুকাই। ঘটনাস্থলে চিৎকার চেচামেচি শুনে বাজারের লোকজন সহ সাক্ষীগন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা অবৈধ দেশীয় অস্ত্র, লাঠী সোঠা উঁচু করে হুমকি দিতে দিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে চলে যায়। আমি ঘটনার বিষয় নিয়ে আমার নিকটতম লোকজনদের সাথে আলাপ আলোচনা করে উপরোক্ত ব্যক্তিদের নামে বটিয়াঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। সংবাদ সন্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।