খুলনায় ভাইরাসের প্রকোপে ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি কাশি

# ডেঙ্গু আতঙ্কে অস্থিরতা সবার মাঝে #
# মৌসুমী (আরএসভি) ভাইরাসের প্রকোপ
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ গেল কয়েক সপ্তাহ যাবৎ প্রায় ঘওে ঘরে শুরু হচ্ছে জ¦র, সর্দি, কাশি সেই সাথে অনেকের শ^াসকষ্ট । মূলতঃ মৌসুমী রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) আক্রান্ত হচ্ছে ছোট বড় সব বয়সী মানুষেরা। বিশেষ করে মৃদ ঠান্ডা গরম এর কারণে এর প্রভাব বাড়তে পারে। এছাড়া এই আরএসভি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। কাশি বা হাঁচি বাতাসে ভাইরাস কণা চোখ নাক বা মুখের মাধ্যমে অন্যদের সংক্রমিত করে। দূষিত কিছু স্পর্শ করা, বিশেষ করে প্রথম সপ্তাহের লক্ষণগুলিতে কিছু ব্যক্তি বিশেষ করে শিশু এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের লক্ষণ শুরু হওয়ার চার সপ্তাহ পর্যন্ত সংক্রমন থাকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ দিকে এই ভাইরাস জ¦র,সর্দি, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে বিশেষ করে শিশু হাসপাতালে আগের তুলনায় শিশু রোগী বেড়েছে কয়েক গুণ। এছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালটির বহির্বিভাগে শত শত শিশু রোগী এই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এমনকি এত পরিমাণ রোগীর চাপ যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। কথা হয় চার বছর বয়সী শিশু খুসবু আক্তারের মায়ের সাথে তিনি বলেন, গেল এক সপ্তাহ বেশি সময় যাবৎ জ¦র সর্দি কাশি কোন ভাবেই থামছেনা। গতকাল হঠাৎ করে বাচ্চাটির শ^াস কষ্ট দেখা যায়। আমি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক আমাকে ভর্তির পরামর্শ দেন । পরে জানাযায় এই ভাইরাস থেকে আমার বাচ্চাটি নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েেেছ। একই কথা বলেন, কারিমা বেগম তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় ঘরে আমার স্বামীর জ¦র হয়। পরবর্তিতে এক এক করে ঘরে আমাদের পরিবারে মোট ৪ সদস্যর সকলের মধ্যে একই লক্ষণ দেখা যায়। এই সংক্রামক ব্যাধিটি খুব ভয়ানক ; ঘরে একজন আক্রান্ত হলে সবাই আক্রান্ত হয়। এ বিষয়ে কথা হয় রোগী মোঃ হালিমের সাথে তিনি বলেন, আমার গেল এক সপ্তাহের বেশি সময় যাবৎ আমার সর্দি, মাথা ব্যথা, রাত্রে ঘুম আসেনা। নিয়মিত স্বাভাবিকভাবে ওষুধ সেবন করলেও এখনও ঠিক হয়নি, শরির খুব দুর্বল। এ বিষয়ে খুলনা শিশু হাসপাতালের আরএমও ডাঃ ইমতিয়াজ বলেন, আমাদের হাসপাতালে এই আরভিএস ভাইরাসে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপ থামছেনা। এ বিষয়ে খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মাদ কামাল হোসেন বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। ছায়া যুক্ত জায়গায় থাকতে হবে। ভিড়ের মধ্যে না যাওয়া ভালো। এছাড়া শিশুদের স্পর্শ করার সময়ে হাত ধুয়ে তাকে কোলে নিতে হবে। এই ভাইরাসটি সাধারণত এক সপ্তাহ থাকে এর পর ধিওে ধিরে দুর্বল হয়ে পড়ে।