খুলনা ওয়াসা অফিস থেকে পানির মিটার চুরির বিষয়ে প্রবাহে নিউজ প্রকাশের পর ব্যাপক তোলপাড়
# বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জড়িতদের বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা ওয়াসা অফিস থেকে ৭৬৬ পিস পানির মিটার চুরির বিষয়ে দৈনিক প্রবাহে নিউজ প্রকাশের পর ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িতরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করছে। এদিকে, চুরির ঘটনায় গত রবিবার খুলনা ওয়াসা সহকারী প্রকৌশলী ও আঞ্চলিক কর্মকর্তা ‘খ’ অঞ্চল রফিকুল আলম সরদার খালিশপুর থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১০ নভেম্বর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে খুলনা ওয়াসার চরেরহাট আঞ্চলিক অফিসের পুরাতন অব্যবহৃত (নষ্ট) ৭৬৬টি (আনুমানিক) পানির ফ্লো মিটারের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। আরও জানা গেছে, চরেরহাট আঞ্চলিক অফিসের ২য় তলার তালাবদ্ধ স্টোর রুমের দায়িত্বে ছিলেন, অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী চিন্ময়, পাইপলাইন মিস্ত্রি (ভার: প্রাপ্ত) টিপু হালদার, সহকারি দুলাল হোসেন ও মিস্ত্রি মোকাররম হোসেন মিন্টু। তারা দায়িত্বে থাকার পরও এতগুলো মিটার চুরি হয়েছে। বিষয়টি বেশ রহস্যজনক। মিটার গুলো পিতলের তৈরী এবং এগুলো খুবই মূল্যবান ছিলো। এবিষয়ে খুলনা ওয়াসার চরের হাট অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আফিকুল ইসলাম বলেন, অফিসের দ্বিতীয় তলার একটি তালাবদ্ধ স্টোররুমে মিটারগুলো রক্ষিত ছিল। সেখানে মিস্ত্রি রুম খুলে আসা-যাওয়া করত। এমনকি ওই স্টোর রুমের তালা এবং সেখানে থাকা সিসিটিভি অকেজো ছিল বলেও জানান তিনি। তবে মিটারগুলো একসঙ্গে নয়, পর্যায়ক্রমে ২০২২ সাল থেকে চুরি হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। এর সঙ্গে অফিসের এবং বহিরাগত কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা তার। তবে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।