স্থানীয় সংবাদ

দিঘলিয়ায় সরকারি এমএ মজিদ কলেজের টাকা তুলে ভাগাভাগি

# অতঃপর সাত লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা #

দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দিঘলিয়া সরকারি এমএ মজিদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষকে জিম্মি করে কলেজটির উপাধ্যক্ষ কতিপয় জিবি সদস্যকে ব্যবহার করে প্রায় ২২ লাখ টাকা আতœসাত করেছে। এমন সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আতংকিত হয়ে ৭ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে চালানের মাধ্যমে জমা দিয়েছেন এমন সংবাদে পুরা দিঘলিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ দিঘলিয়া সরকারি এমএ মজিদ ডিগ্রী কলেজ। কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা দিঘলিয়ার কৃতি সন্তান ও দানবীর মরহুম এম এ মজিদ। তিনি ছিলেন এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য। তিনি তার জীবদ্দশায় কলেজটির শিক্ষকদের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে কলেজের নামে ৫ লাখ টাকা খুলনা ন্যাশনাল ব্যাংকে এফডিআর করে রেখে দেন। যে টাকা মেয়াদে মেয়াদে এক সময় ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১৬১ টাকা ১২ পয়সা হয়। এই টাকা তুলে নয় ছয় করার মানসে এ কলেজের উপাধ্যক্ষ খান রওশন আলী (দিঘলিয়ার খান পাড়ায় কলেজ পাড়ায় বাড়ি) কলেজের আওয়ামী ঘরনার কয়েকজন শিক্ষকের সহযোগিতায় তৎকালীন অধ্যক্ষ মীর্জা নুরুজ্জামানকে জিম্মী করে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন করে নিজের মর্জি মাফিক কমিটি দাঁড় করিয়ে উক্ত এফডিআর করা টাকা আতœসাতের উদ্দেশ্যে উত্তোলন করেন। এই টাকা উত্তোলনের পর তিনি অধ্যক্ষ ও কয়েকজন সহযোগী সদস্যকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেন বলে জানা যায়। ঐ সময় এ টাকা নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে কানাকানি শুরু হলে তিনি অধ্যক্ষ দিয়ে ৫ লাখ টাকার এফডিআর করান দিঘলিয়া সোনালী ব্যাংকে। বাকী টাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ খান রওশন আলী ও জিবির পরিবর্তীত সভাপতি দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় আতœসাৎ করেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে এই অর্থ তসরুপের ঘটনা তৎকালীন কয়েকজন জিবি সদস্য সন্মুখে আনেন। তারা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দিঘলিয়া উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলম দিঘলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমানের মাধ্যমে তদন্তও করিয়েছিলেন। কিন্তু সকলেই আওয়ামী ঘরোনার লোক হওয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ থেমে যায় খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী এর নগ্ন হস্তক্ষেপে সব কিছু থেমে যায়। এ ঘটনা নিয়ে অতি সম্প্রতি দিঘলিয়া সরকারি এমএ মজিদ ডিগ্রী কলেজের টাকা আতœসাৎ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আতংকিত হয়ে সাবেক এ উপাদ্যক্ষ ২ লাখ টাকা পাঠান বর্তমান অধ্যক্ষের নিকট। অধ্যক্ষ উক্ত টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে আবার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তিনি আতংকিত হয়ে সরকারি কোষাগারে ৭ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কলেজের এক সূত্রে জানা গেছে। বিজ্ঞমহলের জিজ্ঞাসা তিনি যখন কিছুই জানেন না তখন ৭ লাখ টাকা কোথা থেকে এলো? ৭ লাখ টাকা জমা দেওয়া হলো বাকী ৯ লাখ টাকা কোথায়? কলেজ আঙ্গিনার গাছের সাড়ে ৩ লাখ টাকার গাছ গেলো কোথায়?

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button