মণিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধীক শিক্ষার্থী চুলকানিতে আক্রান্ত : আতঙ্ক
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ মণিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালিন হঠাৎ শিক্ষার্থীরা চুলকানি রোগে আক্রান্ত হয়। মুহুর্তের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যায়। ফলে অর্ধশতাধীক শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ খবরে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। মণিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম হালদার জানান, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০ টার দিকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ের পাঠদান চলছিল। শ্রেণি শিক্ষক অপর্না রানী জানান,ক্লাসচলাকালিন প্রথমে শিক্ষার্থী জান্নাতুল এশা ও জিম এর শরীরে চুলকানি দেখা দেয়। কিছু সময় যেতে না যেতেই দিপ্র দেবনাথ, আয়েশা খাতুন,ম ফারহানা ইয়াসমিন ও তহমিনা খাতুনের শরীরও চুলকানিতে আক্রান্ত হয়। মুহুর্তের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি ছড়িয়ে পড়ে। চুলকানির এক পর্যায়ে শরীর লাল বর্ন হয়ে ফুলে যায়। পরবির্ততে ৩য় শ্রেণির তিশা,ম ময়মুনা ও হাফসা সহ অন্য শ্রেণিকক্ষের
শিক্ষার্থীরাও আক্রান্ত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে শিক্ষকরা অসুস্থ অর্ধশতাধীক শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করে। শিক্ষার্থীদের দেখতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সময় অভিভাবকসহ উৎস্যুক জনতার ভীড় জমে। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. তহমিনা ইসলাম এবং শিশু বিশেযজ্ঞ ডা.জেসমিন সুমাইয়া জানান, প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিক্ষার্থীরা সুস্থ্য হয়েছে। পরে খবর পেয়ে দুপুরে দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না ও আবু মোত্তালেব আলম মনিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. তন্ময় বিশ্বাস জানান, প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে এটা এক ধরনের গণমনস্তাত্বিক রোগ হতে পারে। তবে বিষয়টি উদঘাটনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.হুমায়ুন রশিদসহ তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।