দৌলতপুরে সাংবাদিক ইকরামুল ও তার সন্তান হামলার শিকার
# মামলা দায়ের, গ্রেফতার ২ #
স্টাফ রিপোর্টারঃ নগরীর দৌলতপুর দেয়ানায় সিনিংর সাংবাদিক ইকরামুল কবির দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো দেয়ানা পূর্ব পাড়া হসপিটাল মোড়ের বাসিন্দা মৃত সাইফুল মহরীর ছেলে কাওছারুল ইসলাম কবির(৫০) ও একই এলাকার কাওছারুল ইসলাম কবিরের ছেলে ইমতাজুল ইসলাম জিহাদ(২০)। এদেরকে মঙ্গলবার রাতে নিজ এলঅকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বুধবার এদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে ওসি মীর আতাহার আলী জানান। এজহারে উল্লেখ করা হয়, ইকরামুল কবির একজন সিনিয়র সাংবাদিক। তিনি দেয়ানা পূর্ব পাড়ায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত জনৈক আজাহার শেখের ১.১৪ শতক সম্পত্তি দালালী করে উক্ত সম্পত্তি জেসমিন নামীয় এক মহিলার নিকট বিক্রি করে দেয় মোঃ মুনির, কাওছারুল ইসলাম কবির, জিহাদ। পরবর্তীতে উল্লেখিত আসামীগণ গত ১১ নভেম্বর সকাল ১১টার সময় উল্লেখিত সম্পত্তিতে দখল নিতে আসলে সাংবাদিক ইকরামুল বাঁধা দেয় এবং বলে যে সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছো সে সম্পত্তি তার। এই নিয়ে আসামীদের সাথে ইকরামুলের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আসামীরা চলে যায়। অতঃপর আসামীরা পুনরায় সংঘবদ্ধ হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীকে নিয়ে দুপুর ২টার দিকে বাদীর স্বামীকে আসামীরা মোবাইলযোগে সংবাদ দেয় বাড়ির বাইরে আসার জন্য। তখন তার স্বামী ভাত খাওয়া রেখে বাড়ির সামনে উপস্থিত হলে উল্লেখিত আসামীরা তাদের হাতে থাকা হকিস্টিক, লোহার রড, কাঠের চলা ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইকরামুলকে জীবনের তরে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় ১নং আসামী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তার স্বামীর মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে, যাা তার মাথার ডান পাশে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় এবং মাথায় রক্তক্ষরণ হয়ে রক্ত জমাট বাঁধে। এ সময় বাদীর স্বামী আসামীদের মারধরের ফলে ডাক-চিৎকার করলে তার সন্তান হুমায়ুন কবির তার পিতাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে ২নং আসামী তার হাতে থাকা কাঠোর চলা দিয়ে তার সন্তানকে জীবনের তরে শেষ করে দেওয়ার জন্য মারপিট করে। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনার সময় বাদীর ছেলের পকেটে থাকা ব্যবসায়িক কাজের জন্য চব্বিশ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আসামীরা তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে ভেবে ফেলে চলে যায় এবং হুমকী দেয় যে, এই বিষয় নিয়ে কোথাও অভিযোগ করলে বা মামলা মোকদ্দমা করলে বাদীর ছেলের অবস্থাও তার পিতার মত করবে বলে হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় আহত দু’জনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।