জাতীয় সংবাদ

মামলা করে বাদী হিরো হতে চেয়েছেন, আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী

প্রবাহ রিপোর্ট : রাজধানীর মগবাজার এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা ও বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আসামিকে কারাগারে রাখার শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ ভাসানী বলেন, আট বছর আগের ঘটনার মামলা হয়েছে কয়েকদিন আগে। এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে কিনা? এর স্বপক্ষে কোনও কিছুই মামলায় নেই। মামলার বাদী (বাবুল সরদার চাখারী) একজন সুযোগসন্ধানী, সে এখন হিরো হতে চাইছে। বিগত সরকারের সময় তারেক জিয়া ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে সে অনেক ভ্রান্ত ও মিথ্যা অভিযোগ করেছে। সেসব থেকে বাঁচার জন্য এখন ভালো সাজতে চাইছেন। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমানের আদালতে এ কথা বলেন তিনি। টিপুর পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী আরও বলেন, বাদীকে কে আঘাত করেছেন, কতদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন— সেসব ডকুমেন্ট আদালতে জমা দেননি। খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের গাড়ি ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করলেও গাড়ির নম্বর দেননি। কোন আসামি তাকে আঘাত করেছেন, সরাসরি তার নামও উল্লেখ করেননি। আসামি একজন বয়স্ক ব্যক্তি। তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি একজন স্বনামধন্য লঞ্চ ব্যবসায়ী, জামিন পেলেও পলাতক হবেন না। যে কোনও শর্তে, প্রয়োজন আমি জিম্মাদার হতে রাজি আছি। যে কোনও শর্তে মানবিক দিক বিবেচনা করে আসামি টিপুর জামিনের প্রার্থনা করেন আইনজীবী আব্দুল হামিদ ভাসানী। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, টিপু দক্ষিণাঞ্চলের একজন লঞ্চ ব্যবসায়ী। তার অনুমতি ছাড়া ওই অঞ্চলে অন্য কেউ লঞ্চ ব্যবসা করতে পারতো না। বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট রেজিমকে রক্ষা করতে জাতীয় পার্টির ভূমিকা কম নয়। জাতীয় পার্টি যদি এদের রক্ষা না করতো, তাহলে এতো ক্ষতি হতো না। আওয়ামী লীগ যত অন্যায় করেছে, এর উচ্ছিষ্ট ভোগ করেছে জাতীয় পার্টি। আসামি তার বাড়ির কেন্দ্রসহ আশপাশের সব কেন্দ্রে সে ভোট চুরি করেছে। মগবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সম্মিলিতভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা করেছে। ওই সময় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা টিপুর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন। ফ্যাসিস্ট চলে গেছে, কিন্তু ফ্যাসিস্টের সহযোগীরা এখনও আছে। এরা ছাড়া পেলে সমাজে আবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। এসময় মামলার বাদীর ব্যাপারে বিচারক জানতে চাইলে ফারুকী বলেন, স্বৈরাচারের সঙ্গে বাদীর সংশ্লিষ্টতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ঘটনাটি ঘটেছে কিনা। ঘটনা সত্য। আর আদালতে তাদের (আসামিপক্ষ) দেওয়া ছবিগুলো সত্য কিনা, আমরা কীভাবে বুঝবো। এসব ছবি এডিট করা যায়। তবে কোনও পত্রিকার রিপোর্ট আনতে পারলে সত্যতা বোঝা যেতো।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button