দিঘলিয়ায় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বহাল অবস্থা
সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে ঃ দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির বেহাল অবস্থা। কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে আবাসিক ব্যবস্থাসহ দ্বিতল এ ভবনটি বর্তমানে জটিল রোগীর অবস্থানে।
সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি শিব মন্দীর এলাকায় একটা একতলা ভবনে চলে আসছিল দাতব্য সেবার কাজ। সেনহাটি ও দিঘলিয়ার শত শত রোগী প্রতিদিন এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে আসছিল। পাট শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ ও শ্রমিক বসতি এলাকার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পেরে এ দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রটি এলাকার মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রূপ নেয়। যা বর্তমানে দিঘলিয়া উপজেলার একটা নির্ভরযোগ্য উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে। এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা বিশেষ করে মা ও শিশুদের কথা চিন্তা করে খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দিঘলিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের আওতায় পুরোনো ভবনের পাশে দোতলায় আবাসিক দুই কক্ষসহ দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। সেনহাটি সাব ডাকঘরের ও ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দীরের মধ্যবর্তী অবস্থানে এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নির্মাণ করলেও সীমানা প্রাচীর তৈরি না করায় শুরু থেকে এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ছিল অরক্ষিত। তথাপিও এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা এফডব্লিউভি পদে যারা কর্তব্যরত থাকতেন তারা এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করার কারণে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটেনি। পাশাপাশি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুরোনো ভবনটি দিঘলিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এলাকা ছিল সুসংরক্ষিত। পরবর্তীতে নতুন পুরাতন ভবন দুটিতে কেউ না থাকার কারণে পুরা এলাকা হয়ে পড়ে অরক্ষিত এবং রাতের বেলা হয়ে ওঠে নেশাখোর ও নেশা দ্রব্য বিক্রেতাসহ নানা অপরাধীদের অভয়ারণ্য। জানালা-দরজা, মোটর, ফ্যান, মোটরখাচা, পানির পাইপ সকলই একে একে চুরি হয়েছে। ভবনটির সামনের থাই কাচগুলো ভেঙ্গে চুরমার করে দৃষ্টিনন্দন এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবনটি হয়ে পড়েছে অরক্ষিত ও জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবন। ভবনটিতে লাখ লাখ টাকার ঔষুধ ও যন্ত্রপাতি থাকলেও থাকে না কোনো নৈশ প্রহরী। সম্প্রতি উক্ত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চুরির সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে এ তথ্য জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা হয় উক্ত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বরত এফডব্লিউভি মৌলির সাথে। তিনি বলেন দায়িত্বে থাকা এফডব্লিউভি মাতৃকালীন ছুটিতে আছেন ২০/০৮/২০২৪ থেকে। তিনি তার পরিবর্তে ২১/০৮/২০২৪ থেকে উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দোতলায় বর্তমানে থাকার পরিবেশ নেই। জানালা দরজা নেই। চুরি হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুবুল আলম এর সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, ভবনটি পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের। সংরক্ষণ ও বসবাস তাদের, রক্ষণাবেক্ষণও তাদের দায়িত্ব।