স্থানীয় সংবাদ

যশোরে মাদক মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন ও পুত্রের ৫ বছরের কারদ-

যশোর ব্যুরো ঃ যশোরে পৃথক দুইটি মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক যুবকের ৫ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা জজ ৭ম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন টিপু এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার শাহরিয়ার ইবনে আজাদ। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন দেশের সীমান্তবর্তী বেনাপোলের বড় আচঁড়া গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ফিরু ও সাতক্ষীরা জেলার আগরদাড়ি গ্রামের নইমউদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে শাহ আলম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত ৯টার পর একটি চুরি মামলায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফিরোজার ছেলে মোস্তফা ওরফে মোস্তকে বেনাপোলের এমপি মার্কেটের সামনে থেকে আটক করে। পরে তার কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করে। চুরি হওয়া বাকি টাকা ও মোবাইল কোথায় আছে জিজ্ঞাসা করলে মোস্ত জানান তার মা ফিরোজার কাছে রয়েছে। পুলিশ পরে মোস্তকে সাথে নিয়ে তার মা ফিরোজার কাছে যান। ফিরোজার ঘর তল্লাশি করা হয়। পুলিশ খাটের নিচের একটি বাক্সথেকে তিনটি চোরাই মোবাইল ফোন ও নগদ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে । পরে পুলিশ ওই বাক্স থেকে ১শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। যার দাম ১০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন এসআই এহসানুল হক। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান ফিরোজার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমাদেন। গত ৪ নভেম্বর রায় ঘোষনার দিনে ফিরোজার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। এরপর থেকেই পলাতক ছিলে ফিরু। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এদিকে, অপর একটি মামলায় একই আদালত আব্দুস সালাম ওরফে শাহ আলমকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
শাহ আলমকে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মণিরামপুর রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা খবর পায় এক মাদক ব্যবসায়ী সাতক্ষীরা সিমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল নিয়ে মণিরামপুরের দিকে আসছে। পরে তারা রাজগঞ্জ বাজারে অবস্থান করেন। এসময় একটি ভ্যানে করে শাহ আলমকে আসতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে শাহ আলমের কাছ থেকে ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে এসআই মোল্লা জিয়াদুজ্জামান আদালতে শাহ আলমকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। ২০ নভেম্বর বুধবার রায় ঘোষনার দিনে বিচারক তার সাজা প্রদান করেন একই সাথে পলাতক থাকায় শাহ আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button