স্থানীয় সংবাদ

খুলনাজুড়ে শেখ পরিবারের অঢেল সম্রাজ্যের অর্থে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা : বাজেয়াপ্ত করার দাবি

# বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শেখ পরিবারের রক্তচোষা সম্পত্তিগুলো বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে করা এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় শেখ বাড়ির অবৈধ সম্পদ রক্ষনাবেক্ষণকারীদের মুখোশ উন্মোচন করার কথা জানান বাপ্পি।
তিনি লেখেন, পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ ভাই খুলনা শহরে বসবাস করায় এ শহরের অলিতে গলিতে শেখ পরিবারের এতবেশি অধিপত্য ছিল যে, এখনও পর্যন্ত শেখ পরিবারের নাম শুনলে মানুষ ভয়ে আতকে উঠে৷ শেখ বাড়ির প্রতিটি মানুষ ছিল যেনো এশহরের মানুষের ভাগ্য বিধাতা৷ শেখ বাড়ির সিদ্ধান্তই এশহরের শেষ কথা বলে বিবেচিত হতো। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাস, খুনসহ এশহরে এহেন কোনো অপকর্ম নাই যা শেখ বাড়ি থেকে কন্ট্রোল করা হতো না৷ শুধু তাই নয়, শহরের মানুষের রক্ত চুষে শেখ পরিবারের সদস্যরা এশহরে সম্পদের পাহাড় গড়েছে৷ রাজপ্রাসাদের মতোন বাড়ি, হোটেল, শোরুম সহ এলাহি সব কারবার৷ বিনিময়ে একসময় জৌলুস ভরা শিল্পনগরীর এশহর পরিনত হয়েছে আজকের মৃত নগরে। প্রতিটি মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন সহ প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে শেখ বাড়ির পূর্ণ আধিপত্য, অন্যায়, অত্যাচার ও অনিয়ম এশহরের মানুষকে অনেক বেশি যন্ত্রনা দিয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে নিঃস্ব করেছে, লাখো মানুষকে আজও কাঁদাচ্ছে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি, হাসিনা পলায়নের পর গত প্রায় ৪ মাসে এখনও পর্যন্ত দেদার্সে খুলনা শহরজুড়ে চলছে শেখ পরিবারের ব্যাবসা বাণিজ্য৷ একদল মানুষ যেনো পরম যতেœ পাহারা দিচ্ছে ও দেখভাল করছে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে অর্জিত শেখ পরিবারের এই বিশাল সম্রাজ্য। অঢেল সম্রাজ্যের কিছু কিছু আবার এরা নিজেদের লোক দিয়ে বিক্রি করেছে৷ এখনও নিয়মিত ভাড়া তুলছে, ব্যাবসা করছে৷ মানুষের হক নষ্ট করা এই বিশাল সম্রাজ্য এখনও কিভাবে চলছে? এই টাকাগুলো যাচ্ছে কোথায়? কারা সম্পদ বিক্রি করছে? বিক্রিত অর্থগুলো যাচ্ছে কোথায়?
আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর আছে, শেখ পরিবারের এই সম্রাজ্য বিক্রির টাকা আর ব্যাবসা বাণিজ্য করে অর্জিত লভ্যাংশ দিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অনবরত ষড়যন্ত্র চলছে৷ আনসারলীগ, রিকসালীগ, দাবিদাওয়া লীগ, ১৬ বছরের বঞ্চিতলীগ, কিস্তি লীগ সহ নানান নামে ব্যার্থ হয়ে এখন তারা উগ্রপন্থী ইসকনের ঘাড়ে ভর করে দেশদ্রোহী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
অনতিবিলম্বে মানুষের রক্ত চুষে অর্জিত শেখ পরিবার ও তাদের দোসরদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে৷ কারা শেখ বাড়ির নিষিদ্ধ ও সমাজবিরোধী সদস্যদের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে জনসম্মুখে মুখোশ উন্মোচন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ষড়যন্ত্রকারী, রাষ্টদ্রোহী ও সমাজবিরোধীরা যদি আজও ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে তবে শীঘ্রই আমরা ব্যর্থ হবো, বৃথা যাবে হাজার হাজার মানুষের রক্ত আর শত অবুঝ শিশুর রক্তে গড়া আমার এই স্বাধীনতা। আর আমরা ব্যর্থ হলে ব্যর্থ হবে বাংলাদেশ।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button