কপোতাক্ষ নদের চর ভরাটি জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ
দখল ও কর্তৃত্ব নিয়ে সংঘাত সংঘর্ষের আশঙ্কা
পাইকগাছা প্রতিনিধি ঃ পাইকগাছা ও তালা উপজেলার সীমান্ত কপোতাক্ষ নদের চর ভরাটি জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর মৌজার সাড়ে ৪ বিঘা জমি নিয়ে তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শাহাজাতপুর গ্রামের মৃত মান্নান গোলদারের ছেলে আবু মুছা গোলদার (৫০) ও খেশরা গ্রামের মৃত হরিপদ রায়ের ছেলে পাচু গোপাল রায় (৫৫) এর সাথে পাইকগাছার হিতামপুর গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে মুহাম্মদ ছহিল উদ্দিন গাজী(৪৮) এর মধ্যে এ বিরোধ দেখা দিয়েছে। মুছা ও পাচু গোপাল জানান ২০০১ সাল থেকে হিতামপুর মৌজায় ১৭ বিঘা জমি স্থানীয় জমির মালিকদের কাছ থেকে ডিডমূলে লীজ নিয়ে আমরা দুজন যৌথভাবে মৎস্য ও ধান চাষ করে আসছি। পরবর্তীতে এর পাশে কপোতাক্ষ নদের চর জেগে উঠে। সাড়ে ৪ বিঘা চরভরাটি জমি বাঁধ দিয়ে মৎস্য এবং ধান চাষ করে আসছি। নালিশী এ জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য আমাদের দুজনের নামে ১৮-০৭-২০১৩ তারিখে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়। বিভিন্ন কারণে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি। তবে সেই থেকে আমরা শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছি। প্রতিবছরের ন্যায় নালিশী জমিতে আমন ধান লাগানো হয়েছে। যা কর্তন করে জমিতে রাখা রয়েছে। মুছা ও পাচু অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষ ছহিল উদ্দিন তঞ্চকিপূর্ন দলিল মূলে নালিশী জমি তার বলে দাবি করছে এবং তার লোকজন গত বুধবার থেকে টানা ৩ দিন মাছ ধরে এবং বাসা ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এদিকে ছহিল উদ্দিন বলেন দুটি দলিল মূলে নালিশী জমির মালিক আমি। জমির কর খাজনা পরিশোধ রয়েছে। ১ একর ৮৬ শতক জমি আমার নামে নাম পত্তন ও হয়েছে। জমিতে আমার বাসা রয়েছে। রেকর্ড সংশোধন এবং সিভিল মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষ মুছা পাচু গংদের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৭৬/২০২৪ নং নিষেধাজ্ঞা মামলা রয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী থানা পুলিশ স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নোটিশ প্রদান করেছে। তারা অন্য জেলার বাসিন্দা হয়ে নালিশী জমি জোর পূর্বক দখলে রাখতে চায় বলে অভিযোগ করেন ছহিল উদ্দিন গাজী। এদিকে বিরোধপূর্ণ নালিশী জমির দখল পাল্টা দখল ও কর্তৃত্ব নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।