বাগেরহাটের পুলিশ সুপারসহ বিএনপি-জামায়াতের জেলা পর্যায়ের নেতৃবন্দেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন
# পল্লীতে প্রকাশ্য দিবালোকে বসতবাড়িতে অগ্নি-সযোগ #
# মামলা ও গ্রেফতার নাই #
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের পল্লীতে স্থানীয় বিএনপির বিএনপির বিবাদমান দ্ইু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা পর প্রকাশ্য দিবালোকে এক পক্ষের বসতবাড়ীতে অগি-সংযোগ ও মালামাল লুটের ঘটনা শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মামলা হয় নাই। ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদ আরিফ, জামায়াত নেতা মঞ্জুরুল হক রাহাদ জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কোন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয় নাই। বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর কুলিয়াদাইড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের ৩ দিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষের জের ধরে বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবারও সংঘর্ষ হয়। এ সময় এক পক্ষের বসতঘরসহ ৮/১০ টি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়। এর আগে ওই বাড়ী থেকে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করা হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে নারী ও বৃদ্ধসহ কমপক্ষে ২০/২৫ জন আহত হন। আহতদের বাগেরহাট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। ৩ দিনের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৯ টি মটর সাইকেল ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় একাধিক সাধারন মানুষ বলেন, গত ৩/৪ দিন ধরে বিষ্ণুপুর এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপে হামলা- পাল্টা হামলা ও সর্বশেষ এক পক্ষেল বসতবাড়ীতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটলেও দেখা-দৃষ্টিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি কোন পদক্ষেপ নেয় নি। দলীয় ভাবে বিএনপির উর্ধতন নেতারাও হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রন করছে না। ফলে এলাকাবাসি চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। বাগেরহাট সদর মডের থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান শুক্রবার সকালে জানান, বিষ্ণুপুর এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছে। পুলিশ সুপার দুইদিন ওই এলাকায় পরিদর্শনে গেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়নি এবং কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি।