কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ

অসদাচারণ ও পরিষদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
পাইকগাছা প্রতিনিধি
ইউপি সদস্য ও সেবা গ্রহিতাদের সাথে অসদাচারণ এবং পরিষদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য। এ সকল বিষয় নিয়ে স্থানীয় জনগনের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে সচিবের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহি কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও পরবর্তীতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে কর্মরত রয়েছেন মোঃ আব্দুল গনি গাজী। দীর্ঘ ৮ বছরেরও অধিক সময় ধরে পরিষদে কর্মরত থাকায় তিনি ক্ষমতার একটি নিজস্ব বলয় তৈরী করে নিয়েছেন। সবসময় সবকিছুতেই তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি প্রায়শই পরিষদের ইউপি সদস্য ও সদস্যাদের সহিত অসদাচরণ করেন। এমনকি নাগরিক সেবা গ্রহিতাদের সাথে তাহার ঝগড়া বিবাদ ঘটতেও দেখা গেছে। এর ফলে সাধারন নাগরিক প্রশাসনিক কর্মকর্তার ব্যবহারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ইউপি সদস্যদের কাছে নানাবিধ অভিযোগ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে টিসিবি স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে স্থানীয় জনগনের সাথে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল গণির হাতাহাতির মত ঘটনা ঘটে। গ্রাম পুলিশ ও দফাদার ইউনিয়ন পরিষদের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও তাদের সহিতও প্রশাসনিক কর্মকর্তা অসৌজন্যমূলক আচারণ করে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাস্ক ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে আয়ের অর্থ আত্মসাৎ করেন। এমনকি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজশে অবাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ যৌথভাবে আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সে করানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল গণি গাজীর হাত থেকে মুক্তি এবং এলাকার জনগন যাহাতে নাগরিক সেবাগুলো সঠিক ভাবে পেতে পারে তাহার যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ আলী, ইউপি সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম, মোঃ আজিজার রহমান, রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, মোঃ আলাউদ্দীন গাজী, এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, রাজিয়া সুলতানা, মোঃ বদরুল আলম, কাকুলি বিশ্বাস ও ছখিনা বেগম জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গনি গাজীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে সেটি বন্ধ থাকায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে উক্ত কর্মকর্তার বদলিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।