খুলনার একুশে বই মেলার উদ্বোধন

# চলবে মাস ব্যাপী #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ শনিবার থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে লেখক সাহিতিকদের প্রাণের মেলা একুশে বই মেলা। মাস ব্যাপী এই বই মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্ব সাধারনের জন্য খোলা থাকবে। তবে ছুটির দিন সকাল থেকেই মেলা খোলা থাকবে। এবার মেলার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট ৯০টি স্টল বসছে। এর মধ্যে ৭০টি বইয়ের ও বাকী স্টল গুলো কুটির ও হস্ত শিল্পের বলে জানান মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বয়রা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের উপ পরিচালক হামিদুর রহমান। ইতোমধ্যে স্টল তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগত লেখক সাহিত্যিকদের জন্য এবাই প্রথম থাকছে স্থায়ী লেখক কুঞ্জ। যা খুবই সুন্দর করে তৈরী করা হয়েছে। থাকছে জুলাই-আগস্টের স্মৃতিবিজড়িত বিশাল মঞ্চ। এবারই প্রথম স্টল বরাদ্দ হলো লটারির মাধ্যমে। এতে বেশীরভাগ স্টল মালিকরা খুশি বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বই মেলা গ্রুপে। বয়রা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে বিকেল ৪টায় বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার ও বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সেখ মোঃ হুমায়ুন কবীর। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম। কবি আবু আসলাম বাবু বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বই মেলায় নিয়মিত আসছেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে বই মেলায় আসছেন। এবারের পরিবেশটা বিগত বছরের চেয়ে ভাল। প্রথম দিনেই মেলায় অনেক দর্শক আসেন। স্টলগুলো প্রায় বই তোলা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের স্মৃতি কর্ণার দর্শকদের আকর্ষণ করেছে। আফসার ব্রাদার্স নামক বই স্টলে বই সাজানো প্রায় কমপ্লিট। স্টল প্রতিনিধি ফিরোজ মৃধা বলেন, এবার মেলার পরিবেশ বিগত দিনের চেয়ে ভাল। ফারুক হোসেনের লেখা ৩৬ জুলাই ও সাহাদত হোসেনের লেখা চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান বই দু’টি চাহিদা খুবই বেশী। স্টলে দর্শক আসলেই ওই বই দু’টি হাতে নিয়ে কিছু সময় পড়ছেন। মেলায় শিগগিরই দেখা মিলবে বিশেষ পোশাক পড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের। তারা মেলা মাঠে যাতে কোন ধরণের বিশৃংখলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে দেখভাল করার দায়িত্বে থাকবে বলে জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান।