মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাম ব্যবহার করে খুলনায় জমি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিমালিকানাধীণ জমি দখল ও শ্রেণি পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে আদালতে মামলা ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার কিসমত ফুলতলা মৌজার সোয়া দুই একর জমিতে এ অবৈধ দখলের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনার পলাশ কুমার ম-ল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বটিয়াঘাটা মৌজা কিসমত ফুলকরা জেএল-২৫ এরমধ্যে এসএ ২৯ নম্বর খতিয়ানে ১৬.৮৩ একর সম্পত্তির মালিক রসিক লাল মন্ডল। তিনি এক ছেলে ও ৫ মেয়ের বাবা। তার জীবনদশায় পুত্র কালিপদ ম-ল এক ছেলে শংকরকে রেখে মারা যান। এক পর্যায়ে নাতি শংকর সংসার ছেড়ে নিরুদ্দেশ হলে দাদু রসিক লাল একটি উইল ও চরমপত্র রেজিস্ট্রি করেন। প্রকৃত কাগপত্রের মাধ্যমে তারা জমি দখল করে আসছিলেন। কিন্তু রসিক লাল ম-ল গ্রামের অবস্থান ও পরবর্তীতে মৃতবরণ করলেও ১০ দশমিক ৬০ একর জমি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত করা হয়। রসিক লাল এ নিয়ে মামলা করে নিজ পক্ষে রায়ও পান। কিন্তু এসব গোপন করে বটিয়াঘাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বা কমা-ের নাম ব্যবহার করে প্রথমে বিনয় সরকার ও পরে মো: কামরুল ইসলাম দখল করেছে। শুধু তাই নয়, তারা কৃষি জমির শ্রেণির পরিবর্তন করে সম্প্রতি বাঁধ নির্মাণ, পরিখা খনন ও ঘর তৈরী করছে। কিন্তু এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভুমি অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি। ভুক্তভোগীরা আইন অনুযায়ী অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৌতম রায়, বিক্রম জিৎ রায় প্রমুখ।