মালিক এবং শ্রমিক পক্ষ পরস্পরের জায়গা থেকে ছাড়দিয়ে খুলনা বড় বাজারের ধান-চাল ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে হবে

# মহানগরী জামায়াত ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের বিবৃতি #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বড় বাাজারের ধান-চাল বাবসায়ীদের সাথে হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের দ্বন্দ্বেরকারণেপবিত্র মাাহে রমাদানে চাল ব্যবসায়ী শুধু ক্ষতি গ্রস্তই হচ্ছেন না দীর্ঘদিনের চালের বাজার খুলনা থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় মালিক এবং শ্রমিক উভয় পক্ষ পরস্পরের জায়গা থেকে ছাড় দিয়ে বড় বাজারের এই ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।তা না হলে যদি মালিক না থাকে তবে ব্যবসা থাকবে না, আর ব্যবসা না থাকলে শ্রমিকরা কাজ করবে কোথায়? আবার শ্রমিক না থাকলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলবে কাদের দ্বারা। প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজন উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরীর নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুজ্জামান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন এবং এই আন্দোলনের সাথে থাকা নেতাকর্মীদের প্রতিআহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রমিকরা যেন বৃহত্তর স্বার্থে তাদের জায়গা থেকে সরে আসেন, আর মালিকদেরও তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের দাবি আদায়ে পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। একে অপরের সহযোগীতায় এগিয়ে আসলে আশা করা যায় বড় বাজারের ধান-চাল বাবসায়ীদের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তারসমাধান সম্ভব।
নেতৃবৃন্দ উভয় পক্ষকে আহবান জানিয়ে বলেন, আগামীকাল থেকে পবিত্র মাহে রমাদান শুরু হচ্ছে এটা সমাধান না হলে বড় বাজারের ঐতিহ্য বিনষ্ট হবে। চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ার আশংকা থাকায় সাধারণ ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবে। নেতৃবৃন্দ যে কোন মূল্যে এই সংকটময় পরিস্থিতি সমাধানে শ্রমিক ও মালিক পক্ষ পরস্পরকে ছাড় দিলে অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।