বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে

সিভিল সোসাইটির আলোচনায় বক্তারা :
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ভেঙ্গে দিতে হবে বাজার সিন্ডিকেট। কোনভাবে যেন ব্যাবসায়িরা মজুদ করে বেশি মুনাফা লাভ করতে না পাওে সেদিকে নজর রাখতে হবে। অসাধু ব্যবসায়িরা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেষ্টা করতে পারে। কোনভাবে যেন তারা এই সুযোগ না পায় তারজন্য নিয়ন্ত্রন করতে সরকারের লোকবল বাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, রমজান এলে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়ায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছু ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্যের দাম কম থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্র্রব্যমূল্যের যে নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বৃদ্ধি তাতে মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। এভাবে বললেন সিভিল সোসাইটির আলোচনা সভায় বক্তারা।
সোমবার দুপুর ১২ টায় খুলনা সিভিল সোসাইটির উদ্যোগে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম জোরদার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যেও দাম কমানোর দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা সিভিল সোসাইটির আহবায়ক এস এম শাহনেওয়াজ আলী। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি খান মনিরুজ্জামান, কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আওরঙ্গজেব, সুরখালি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম সীপার, পরিবর্তনের নির্বাহী পরিচালক এম নাজমুল আজম ডেভিড, ব্যাবসায়ি মিয়া আরিফ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, রোটারিয়ান এস ওয়াহিদুর রহমান, মহানগর যুব ইউনিয়নের সভাপতি আফজাল হোসেন রাজু, নারী নেত্রী নূরুন নাহার হীরা, কৃষ্ণা দাস, মো: হুমায়ুন কবীর, শেখ সাইদুর রহমান, আহসান –উল কবীর প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, কিছুকিছু পণ্যেও ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ কর্মজীবী মানুষ এখন দিশাহারা। রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী নীতিমালা তৈরি করা যেতে পারে। এ নীতিমালা দীর্ঘমেয়াদে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে এবং রমজান ও অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবের সময়ে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। সরকারের তদারকি, ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীলতা এবং ভোক্তাদের সচেতনতা এ নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমেই রমজানে পণ্যের দাম ও বাজার অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বক্তারা বলেন, রমজান বিষয়টি গুরুত্বসহকারে মাথায় রেখে টিসিবির মাধ্যমেও ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহের বাড়াতে হবে। এ ছাড়াও প্রয়োজনে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।