যশোরে তেল পাম্পে মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় মারপিট : মামলা

যশোর ব্যুরো ঃ যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের আফরিণ তেল পাম্পের সার্ভিসিং সেন্টারের মধ্যে বাইরে থেকে মাদকসেবী বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মদ্যপান করে উচ্চস্বরে গান বাজন্সাহ হই হুল্লা করে নাচগান করতে বারবার নিষেধ করার কারনে এক যুবক ও তার পিতা আক্রমনের শিকার হয়েছেন। এ সময় তাকে অবৈধভাবে আটক করে তার কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল সেট ছিনিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন,যশোর শহরের শংকরপুর ইসাহাক সড়ক পশ্চিমাংশ,আফরিন তেল পাম্পের পিছনে উজির মন্ডলের ছেলে দুরুল হোদা। পূর্ব শক্রতার কারনে ওই পাম্পের মালিক ও তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা বাদির ছেলে খলিলুল্লাহ ওরফে সাগরকে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে সাগর প্রতিবাদ করলে তার উপর চড়াও হয়। রোববার ২ মার্চ রাতে কোতয়ালি থানায় ৩ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,শহরের ষষ্টিতলা পাড়ার মৃত আনোয়ারুল ইসলাম লাইফ জোয়াদ্দারের ছেলে আজমীর জোয়াদ্দার, শহরের বেজপাড়া তালতলার নাগু এর ছেলে টনি,ত শহরের খালদার রোড এলাকার জিকোসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদি একজন অবসর প্রাপ্ত সার্ভেয়ার সরকারী চাকুরীজীবি। অপর দিকে আসামীরা প্রভাবশালী বিত্তশালী ক্ষমতাবান,দাঙ্গাবাজ,মাদক সেবী সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিবর্গ হচ্ছে।এহেন কোন অপরাধ নাই যা তারা করতে পারে না। আজমীর জোয়াদ্দার আফরিণ তেল পাম্পের মালিক। উক্ত পাম্বের উত্তর পাশে বাদিসহ অনেকে আবাসিক বাড়ি ঘর রয়েছে। আসামী আজমীর জোয়াদ্দার তেল পাম্পের মালিক। উক্ত পাম্পের উত্তর পাশে বাদিসহ অনেকের আবাসিক বাড়ি ঘর রয়েছে। আজমীর জোয়াদ্দার দীর্ঘ দিনি ধরে গভীর রাতে উক্ত তেল পাম্পের উত্তর পাশের্^ সার্ভিসিং সেন্টারে মধ্যে বরে বাইরে হতে মাদকসেবী বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মদ্যপান করে উচ্চস্বরে গান বাজনাসহ হুই হুল্লা করে নাচগান করতো। বাদি ও বাদির ছেলে সহ স্থানীয় আশ পাশের লোকজন এই কর্মকান্ড করতে বারবার নিষেধ করলেও উক্ত পাম্পের মালিক মাদকসেবী উক্ত কথায় কোন কর্ণপাত না করে প্রায় রাতে অনুরুপ কর্মকান্ড করে আসছিল। সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারী আনুমানিক রাত সাড়ে ১১ টার সময় বাদির ছেলে সাগর নিজ বাড়ি হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ইতালীর দুতাবাসে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আফরিন তেল পাম্পের সার্ভিসিং সেন্টারের সামনে পৌছালে আজমীর জোয়াদ্দারসহ উল্লেখিত সকল আসামীরা সাগরকে ডেকে এনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ খুন জখমের হুমকী দিলে সাগর গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে প্রধান আসামীর হুকুমে সকল আসামীরা বাদির ছেলেকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করতে থাকে। পাম্পের মালিক পাম্পের সার্ভিসিং সেন্টারের ভিতর থেকে মদের বোতল এনে তা ভেঙ্গে বাদির ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় আঘাত করতে গেলে সাগর গলা সরালে উক্ত আঘাত মুখের বাম পাশে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। সাগর মাটিতে পড়ে গেলে তাকে মদের বোতলের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে মুখের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাত করা হয়। টনি রড দিয়ে সাগরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। জিকো পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ৩০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। বাদিসহ স্থানীয় লোকজন বাদির ছেলেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে আসামীরা হত্যার হুমকী দিয়ে দ্রুত চলে যায়। স্থানীয় লোকজন বাদির ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। পরে চিকিৎসার শেষে বাদি কোতয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে কোতয়ালি থানার কর্তা মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করায় বাদি উপায়ূন্তর না পেয়ে আদালতের স্মরনাপন্ন হয়। পরে আদালতের নির্দেশে থানা কর্তা মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন।