স্থানীয় সংবাদ

নগরীতে মশা মারা ওষুধের গুণগতমান পরীক্ষা সম্পন্ন

নতুন ওষুধ ‘সাইভার ম্যাথ্রিন’ প্রয়োগ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা নগরবাসী মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচাতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নানা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কারণ কোনভাবেই মশার যন্ত্রণায় নগরবাসী যাতে অতিষ্ঠ না হয় সে দিকে কেসিসি নজরদারি বাড়িয়েছে। মশা থেকে পরিত্রান পেতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনও নড়ে চড়ে বসেছে।
কেসিসি ওষুধ দেয়ার পরও কেন মশা মরছে না। তার জন্য নতুন করে কোম্পানী পরিবর্তন করে নতুন মশার ওষুধ শনিবার সকাল থেকে নগরীতে ছিটানো শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেলে কেসিসির একটি টিম নূরনগর হিসাব অফিসের সামনের ড্রেনে মশক নিধন ওষুধ ছিটিয়ে তার গুণগত মান পরীক্ষামূলকভাবে যাচাই করা হয়। কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম এ গুনগত মান কার্যক্রমে অংশ নেন। সাথে ছিলেন কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী আঃ আজিজ, সহকারি কনজারভেন্সী অফিসার রকিব, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান সুমন, কেসিসি কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জল কুমার সাহা প্রমূখ। এ সময় কেসিসি কর্তৃক নতুন ওষুধ স্প্রে করা হয়। ওই ওষুধের নাম সাইভার ম্যাথ্রিন। ফগার মেশিন দিয়ে ওই ওষুধ ছিটানোর পর উড়ন্ত মশা মরার দৃশ্য কাছ থেকে দেখে টিম। তারা দেখে বেশীরভাগ মশা তাৎক্ষণিক মাটিতে পড়ে আছে। বাকী মশা উড়লেও তারা অনেকটা দুর্বল। যা কিছুক্ষণের মধ্যে তারাও মারা যাবে বলে টিম সদস্য আঃ আজিজ মন্তব্য করেন। এর আগে গত শনিবার কেসিসির গ্যারেজ শাখায় মশারীর মধ্যে আটক মশার ওপর ওষুধ স্প্রে করে ওষুধের মান পরীক্ষা করা হয়। তখন ৯৫.৫৮% মশা মারা যায়। ওই পরীক্ষার সময় মোট মশার সংখ্যা ছিল ২০৪টি, স্প্রে করার পর মারা যায় ১৯৫টি। ৯টি মশা মারা যায়নি। তবে এটা বদ্ধ অবস্থায় স্প্রে করার কারণে ওষুধের গুণগত মান পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারেনি যাচাই বাচাই টিম। তারা মাঠে গিয়ে উড়ন্ত মশার ওপর ওষুধ স্প্রে করার পর ওষুধের মান নিশ্চিত করে বলে তিনি জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button