যশোরে বড় হৈবতপুরে গৃহবধূকে শ^াসরোধ করে হত্যার ঘটনায় মামলা : স্বামী গ্রেফতার

যশোর ব্যুরো ঃ সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামে গৃহবধূ আখি মনি (১৯)কে শ^াসরোধ করে হত্যার পর গলায় দঁড়ি দিয়ে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বরে অপ্রচার ঘটনা হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসায় গৃহবধূর পিতা বাদি হয়ে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে জামাই ও তার বিয়েনসহ অজ্ঞাতনামা ১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি করেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার আফরা গ্রামের মৃত ছমির আলী বিশ^াসের ছেলে আলাউদ্দিন ইসলাম বাবু। মামলায় আসামী করেন, যশোর সদর উপজেলার আব্দুলপুর (বড় হৈবতপুর মাঠপাড়া এলাকার) মিকাইল ইসলামের ছেলে নাহিদ হাসান ও নাহিদ হাসানের মাতা আকলিমা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ১জন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান আসামী নাহিদ হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তিনি যশোর শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিন তিনি সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয়ে যশোর শহরে আসেন। নাহিদ ইসলামের সাথে বাদির মেঝ মেয়ে আখি মনি গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর আখি মনি স্বামীর বাড়িতে বসবাস করার সময় তাদের মধ্যে প্রায় সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। নাহিদ ইসলাম কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত বছরের ২৫ অক্টোবর বিকাল অনুমান ৩ টার সময় নাহিদ হাসানের মাতা আকলিমা বেগম বাদিকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, তার মেয়ে আখি মনি গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বাদি সংবাদ পেয়ে উক্ত বাড়িতে লোকজন নিয়ে হাজির হয়ে তার মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট প্রস্তুুত করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে ময়না রিপোর্টে আসে বাদির মেয়ে আখি মনিকে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ খবর দিলে বাদি থানায় এসে উক্ত আসামী ও তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাহিদ হাসানকে গ্রেফতার করে রোববার ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।