স্থানীয় সংবাদ

নগরীর বয়রায় প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্দ্ব ঃ বর্তমানকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাত

স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রেমিকা বৃষ্টির ইচ্ছা ছিল প্রেমিক রিপনের সঙ্গে রাত কাটাবেন নতুন বাসায়। বিয়ে করে নতুন করে সাজাবেন সংসার। মামার বাসা ছেড়ে প্রেমিকের বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু রিপনের সঙ্গে রাত কাটাতে হলো এ্যাম্বুলেন্স আর হাসপাতালে। তাদের ভাষায়, পথের কাটা হলো বৃষ্টির সাবেক প্রেমিক হৃদয়।ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিপনকে আঘাত করে পালিয়ে যায় সাবেক প্রেমিক হৃদয়। আহত রিপনকে খুলনা থেকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়। হৃদয় রিপনকে ছুরিকাহত করে এখন পলাতক। এক প্রেমিকাকে নিয়ে দু’ প্রেমিকের এমন যুদ্ধ শুক্রবার দিবাগত রাত আটটার দিকে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার বয়রা খ্রীষ্টানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রিপনকে নেওয়া হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আহত রিপন খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার মিলকি দেয়াড়ার আসলাম শেখের ছেলে। প্রেমিকা বৃষ্টি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে বয়রা খ্রীষ্টানপাড়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পলিটেকনিকে পড়াশুনা করেন।পরিকল্পনা অনুযায়ী রিপন শুক্রবার রাতে যান বৃষ্টির কাছে। উদ্দেশ্য ছিল তাকে নিয়ে নতুন বাসায় উঠবেন। এ খবর জানতে পেরে বৃষ্টির সাবেক প্রেমিক এবং রিপনের গাড়ির হেলপার হৃদয় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে ছিলেন সেখানে।হৃদয় বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কাটাখালি এলাকার বাসিন্দা শের আলীর ছেলে। বৃষ্টিকে নিয়ে যাওয়ার সময় রিপনের সঙ্গে হৃদয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হৃদয়ের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রিপনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে বসে এসব তথ্য জানিয়েছেন বৃষ্টি নিজেই।বৃষ্টির চিৎকার-চেচামেচির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রিপনকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে রিপনকে নিয়ে বৃষ্টি চলে যান ঢাকায়।এ ব্যাপারে কেএমপির খালিশপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রিপন মূলত গাড়িচালক আর হৃদয় তার গাড়ির হেলপার। বিষয়টি একেবারেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটে। চিকিৎসা শেষে রিপন ফিরে মামলা করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাছাড়া হৃদয়ও এখন পলাতক।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button