১০০৪ হজযাত্রীর হোটেল ভাড়া হজ অফিসের মাধ্যমে

প্রবাহ রিপোর্ট : বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও এখনো ২০টি লিড এজেন্সির মোট এক হাজার ৪ জন হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়া হয়নি। মঙ্গলবারের মধ্যে জেদ্দায় বাংলাদেশ হজ অফিসের কাউন্সিলরের (হজ) মাধ্যমে এসব হজযাত্রীর হোটেল ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নেয় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এজেন্সিগুলোর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২৫ সালের হজে মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের বাড়ি বা হোটেল ভাড়া সম্পন্নকরণের জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিকবার চিঠি পাঠানো, সভার মাধ্যমে তাগিদ দেওয়া এবং মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে অনুরোধের পরও গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ২০টি লিড এজেন্সি মক্কায় ৯৮৪ জন ও মদিনায় ২০ জন হজযাত্রীর জন্য বাড়ি বা হোটেল ভাড়া সম্পন্ন করতে পারেনি। সৌদি সরকার গত ১৩ এপ্রিল নুসুক প্ল্যাটফর্মে বাড়ি ভাড়ার অপশন বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বিশেষ বিবেচনায় হজযাত্রীদের হজে গমনের সুবিধার্থে হোটেল ভাড়া করার সুযোগ রয়েছে এবং এ সুযোগও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের শতভাগ হজযাত্রীর হজে গমন নিশ্চিত করার স্বার্থে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন করা একান্ত প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধের পরও যেসব লিড এজেন্সি ও সমন্বয়কারী এজেন্সি সংযুক্ত তালিকা মোতাবেক মক্কায় ৯৮৪ জন ও মদিনায় ২০ জন হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়া এখনও সম্পন্ন করতে পারেনি তাদের হোটেল ভাড়া জেদ্দার কাউন্সেলরের (হজ) মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে লিড এজেন্সির নুসুক প্ল্যাটফর্মের আইডি ও পাসওয়ার্ড এবং হোটেল ভাড়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন হবে বলে চিঠি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বিষয়টি অতীব জরুরি হওয়ায় এজেন্সি প্রয়োজনীয় অর্থ এখনই জমা দিতে সক্ষম না হলে কাউন্সেলর (হজ) সরকারি ফান্ডের অর্থ থেকে বাড়ি ভাড়ার প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করবেন। তবে এ বিষয়ে আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট লিড এজেন্সির লিখিত সম্মতিপত্র প্রয়োজন। ২০টি লিড এজেন্সি মক্কায় ৯৮৪ জন ও মদিনায় ২০ জন হজযাত্রীর হোটেল ভাড়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে তা জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট লিড এজেন্সিকে জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিসের অনুকূলে পরিশোধ করতে হবে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে লিড এজেন্সির স্বত্বাধিকারী/ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষরে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর সম্মতিপত্র দিতে হবে। লিড এজেন্সি/সমন্বয়কারী এজেন্সির অসহযোগিতা/গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে এবং মঙ্গলবারের মধ্যে হোটেল ভাড়া করা সম্পন্ন না হলে সংশ্লিষ্ট লিড এজেন্সি ও সমন্বয়কারী এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১ এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থাসহ ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।



