স্থানীয় সংবাদ

খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে আবারো শুরু হলো সব প্যাথলজি পরীক্ষা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ অবশেষে মানবদেহের রোগ নির্ণয় প্যাথলজি পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে । এর আগেও প্যাথলজি পরীক্ষা চলমান ছিল। তবে হরমোন, টিফোর এইচ, লিপিড প্রোফাইল সহ বেশ কিছু পরীক্ষা রি-এজেন্ট সংকটে বন্ধ ছিল। যেকারণে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর হাসপাতালটিতে প্যাথলজি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্য মোঃ আরাফাত হোসেন তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে নির্ণয় করার জন্য রি-এজেন্ট সঙ্কট থাকায় বন্ধ হয়ে পড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র আধুনিক সেবার এই হাসপাতালটি।চরম ভোগান্তিতে পড়ে গরীব অসাহায় রোগীরা। বিশেষ করে হাসপাতালের ভর্তি বিভাগের রোগীরা। বাহিরের প্রাইভেট ডায়াগনেস্টিক থেকে তিনগুণ বেশি টাকা দিয়ে এসব প্যাথলজি পরীক্ষা করলেও। সঠিক পরীক্ষা হয়েছে কিনা এ নিয়ে রোগীদের মধ্যে ছিল সঙ্কা। এছাড়া হাসপাতালটিতে প্যাথলজি পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আশেপাশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল চক্র ছিল বেশ সক্রিয়। রোগীরা অর্থ খরচ করলেও দিত মনগড়া রিপোর্ট এমনটি জানিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী রোগীরা। হাসপাতালটির প্যাথলজি টেরেনশিয়ান সুজন সমাদ্ধার বলেন, রোগ নির্ণয় করার জন্য প্যাথলজি বিভাগের শুধু থায়রডের পরিক্ষা হচ্ছেনা।আর সব ধরনের যেমন হরমোন পরীক্ষা ফোর , ট্রোপোনাইন, এইচবিএ ওয়ানসি, পিএস এএইচবিআইসি, সিরাম ক্রিরেটাইন সহ সব ধরনের পরীক্ষা করা যাচ্ছে।এর আগে রি-এজেন্ট না থাকার কারনে মুলত বন্ধ রাখা হয়েছিল। এসব প্যাথলজি পরিক্ষা চালু করা হয়েছে।এবিষয়ে প্যাথলজি পরিক্ষা করতে আসা রোগী মোঃ আমির আলী বলেন, বেশ কয়েকমাস ধরে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে সব ধরনের প্যাথলজি পরিক্ষা বন্ধ ছিল। আমাদের বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তিনগুন বেশি দিয়ে পক্ষিা করাতে হয়েছে। এভাবে একটি সরকারী হাসপাতালে পরিক্ষা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে আমাদের। তবে এখন আমরা খুবই খুশি । এছাড়া হাসপাতালটিতে প্যাথলজিতে দায়িত্বে থাকা কিছু কর্মচারী আছে যারা রক্ত এখান থেকে টেনে বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দিত। আর রোগীরা ও বাধ্য হয়ে বেশি অর্থ খরচ করে বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার ল্যাব-এইড, পপুলার থেকে এসব প্যাথলজি পরীক্ষা করত। আমাদের দাবি এভাবে যেন প্যাথলজি পরীক্ষার ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকে। আর যেন প্যাথলজি পরীক্ষা বন্ধ না হয়। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জোর দাবি জানাচ্ছি। এবিষয়ে হাসপাতালটি ভর্তি রোগী মোঃ আবুল হোসেনর স্বজন রাতা আলী বলেন, কয়েক মাস হাসপাতালে প্যাথলজি পরীক্ষা বন্ধ ছিল। আমার নিজের জন্য বেশ কয়েকটা পরীক্ষা করতে দিয়েছিল চিকিৎসক ট্রোপোনাইন পরীক্ষা যা করতে খরচ হয় সরকারি হাসপাতালে ৫০০ টাকা বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৫০০ টাকা। এইচবিএ ওয়ানটি ৩০০ টাকা। আর বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিচ্ছে ১০০০ টাকা। এভাবে শুধুমাত্র আমি একা রোগী না এখানে আরো শ শ রোগী ভর্তি রয়েছে যাদের ভোগান্তির শেষ ছিলনা। বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করাতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হতো। তবে কর্তৃপক্ষ আবারো চালু করেছে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি এখন যেন আর কোনদিন এমন সমস্যা না হয়। এ বিষয়ে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, আমরা সময়মত প্যাথলজি পরীক্ষার রি-এজেন্ট সরবরাহ জন্য দরপত্র আহবান করেছিলাম । তবে কিছু আগ্রহী ঠিকাদারেরা নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্য দরপত্রতে বসায়। যে কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তবে কয়েক সপ্তাহ আগের থেকে সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button