শেষ সময়ে জমজমাট মসলা ও সবজির বাজার

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ এবার ঈদ-উল আজহাতে শেষ সময়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে মসলা ও সবজির বাজার। ক্রেতারা ঈদের দশ দিন বন্ধ থাকবে সেই কারণে আগাম সবজিসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী ক্রয় করছে। এ বিষয়ে কথা হয় ক্রেতা মোঃ আশরাফুল রহমানের সাথে তিনি বলেন, দু’দিন পর চলছে বৈরি আবহাওয়া ঈদে দশ দিন সব কিছু থাকবে বন্ধ আমাদের সংসারের জন্য কিছু পণ্য ক্রয় করতে হবে। ঈদের সময় অধিকাংশ সবজির বাজার বন্ধ থাকবে। এছাড়া মসলা সহ বিভিন্ন রান্নার করার উপকরণ ক্রয় করতে হবে। পেয়াজ, রসুনসহ মাছ ক্রয় কয় করছি। তবে দাম আগের তুলনায় মনে হলো বেশি । দোকানিরা বলছে বৈরি আবহাওয়া আর আসন্ন ঈদে মসলাসহ কাচাবাজারে দাম একটু বাড়তি। এছাড়া দেখা যায় নগরীর ডাকবাংলা এলাকায় শপিং মলে নেই ক্রেতা। দোকানী মোঃ আজাদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গেল বছর কোরবানী ঈদেও বেশ ক্রেতা ছিল। এবছর দেখছি মার্কেটে কোন ক্রেতা নেই বললেই চলে। আমি মনে করেছিলাম কিছু বিক্রি হবে আর মাত্র দুদিন আছে ক্রেতা নেই। আমি একা না মার্কেটে সকলের একই অবস্থা। একই কথা বলেন, খুলনা নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেন তিনি বলেন, নিউ মার্কেটে পোশাকের দ্কোানে কোন ক্রেতা নেই্ সবাই যারা আসছেন তারা সকলে দোকান ঘুরে দেখছেন। আর নিচতলা গার্ডেন এর সামনে বসে ফাস্ট ফুডের দোকানের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছে। বলতে পারেন ফাস্ট ফুডের দোকানে মোট কথা খাবারের দোকানে ভাল বিক্রি হচ্ছে। এরকম মন্দা এর আগে কোন ঈদে হয়নি। একদমই হচ্ছেনা বিক্রি তা বলবনা ঈদ উপলক্ষে যেমনটি হওয়া উচিত তার মাত্র ২০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে মনে করতে পারেন। এ কথা বলেন নগরীর খালিশপুরে বিআইডিসি রোডের পোশাক বিক্রেতা হুমায়ুন তিনি বলেন, মানুষের কাছে টাকা নেই। আর যাদের টাকা আছে অধিকাংশ বিগত সরকারের সময়ে যারা রাজনৈতিক নেতা ছিল তাদের কাছে। আর অধিকাংশ নেতারা লুটপাট করে পলাতক সাধারণ মানুষের কাছে টাকা থাকলে মার্কেটে পাড়াতে এত মন্দা যেতনা। এছাড়া কোরবানী ঈদে গবাদি পশু ক্রয় করা নিয়ে ব্যস্ত সময় থাকে মুসল্লিরা।